Home খবর দেশ অভিযুক্তের ‘কুমারীত্ব পরীক্ষা’ ‘অংসবিধানিক’ ও ‘মর্যাদাহানীকর’, পর্যবেক্ষণে বলল দিল্লি হাইকোর্ট

অভিযুক্তের ‘কুমারীত্ব পরীক্ষা’ ‘অংসবিধানিক’ ও ‘মর্যাদাহানীকর’, পর্যবেক্ষণে বলল দিল্লি হাইকোর্ট

0

মহিলা অভিযুক্তের ‘কুমারীত্ব পরীক্ষা’ নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করল দিল্লি হাইকোর্ট। মঙ্গলবার এক মামলার শুনানিতে উচ্চ আদালত একে ‘যৌনতাবাদী ও শর্তহীন’ বলে মন্তব্য করেছে। এ নিয়ে আদালতের পর্যবেক্ষণ, ‘কুমারীত্ব’ শব্দটির কোনও নির্দিষ্ট বৈজ্ঞানিক বা চিকিৎসা বিজ্ঞান সংক্রান্ত সংজ্ঞা নেই, তবু এটি মহিলাদের ‘শুদ্ধতার চিহ্ন’ হয়ে উঠেছে।

আদালত আরও বলে ‘কুমারীত্ব পরীক্ষা’ করার নির্দেশ দেয় এমন কোনও আইনি পদ্ধতি নেই। এই ধরনের পরীক্ষা মর্যাদা লঙ্ঘনকারী ও অমানবিক।

মামলাকারী সিস্টার স্টেফির আবেদনের শুনানির সময় বিচারপতি স্বরানা কান্ত শর্মা এই পর্যবেক্ষণ করেছেন। ২০০৮ সালে সিবিআই এক সন্ন্যাসীনীর মৃত্যু মামলায় অভিযুক্ত সিস্টারকে ‘কুমারীত্ব পরীক্ষা’ করতে বাধ্য করে। ১৯৯২ সালে কেরলে ওই সন্ন্যাসীনীর মৃত্যু হয়। মামলাকারীর অভিযোগ ওই পরীক্ষার ফল ফাঁস করে দেওয়া হয়েছিল।

দিল্লি হাইকোর্ট

শুনানিতে আদালত জোর দিয়ে বলে, পুলিশি হেফাজতে থাকাকালীনও এক মহিলা বন্দির মর্যাদার সঙ্গে থাকার অধিকার রয়েছে।
বিচারপতি শর্মা বলেন,’তদন্ত চলাকালীন মহিলা বন্দি, তা সে পুলিশ বা বিচারবিভাগীয় হেফাজতে থাকলেও, তাঁর কুমারীত্ব পরীক্ষা করা অসংবিধানিক। সংবিধানের ২১ নম্বর অনুচ্ছেদের লঙ্ঘণ।’ বিচারপতি আরও বলেন,’ তাই আদালত মনে করছে, হেফাজতে থাকাকালীন এই ধরনের পরীক্ষা মর্যদাহানীকর এবং যৌনতাবাদী।’

আদালত বলে, ‘এই ধরনের পরীক্ষা অভিযুক্ত মহিলার শুধু শারীরিক অখণ্ডতার উপর তদন্তকারী সংস্থার হস্তক্ষেপ নয়, তাঁর মনস্তাত্বিক অখণ্ডতাতেও আঘাত করা।’

আদালতের আরও পর্যবেক্ষণ, কেউ যদি অপরাধের জন্য অভিযুক্ত বা গ্রেফতার হয় তবু তাঁর মর্যাদাহানী করা যাবে না।

খবর অনলাইনে সব খবরের আপডেট পেতে (khaboronline.com)

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Exit mobile version