নয়াদিল্লি: আরও বেড়েছে যমুনা নদীর জলস্তর। দিল্লিতে প্লাবিত বাড়িঘর। প্রভাবিত মেট্রো-সহ গণপরিবহণ। নির্দেশ জরুরিকালীন ব্যবস্থা গ্রহণের।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ যমুনার জলস্তর বেড়ে হয়েছে ২০৮.৬৬ মিটার। কারণ হরিয়ানার হথনিকুণ্ড ব্যারেজ থেকে নদীতে জল ছাড়া হয়েছে। বর্তমান জলস্তর বিপদসীমার তিন মিটার উপরে।
মারাত্মক অবস্থা দিল্লিতে!
দিল্লির একাধিক এলাকা জলমগ্ন। মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বাসভবন এবং রাজ্য বিধানসভা থেকে নামমাত্র দূরেও জল। রাস্তাঘাট জলে নীচে চলে যাওয়ায় আউটার রিং রোডের অংশ-সহ বেশ কয়েকটি সড়কে যান চলাচল ব্যাহত হয়েছে। যানবাহনকে বিকল্প পথে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে, ফলে ব্যাপক যানজট দেখা দিয়েছে।
মেট্রো পরিষেবাগুলিও প্রভাবিত হয়েছে। সবমিলিয়ে গণপরিবহণের উপর নির্ভরশীল মানুষের জন্য এক জটিল চ্যালেঞ্জ। অ্যাপ্রোচ রোডে জলমগ্নতার কারণে ব্লু লাইনের যমুনা ব্যাঙ্ক মেট্রো স্টেশনটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সব লাইনে অপারেশন স্বাভাবিক থাকলেও, মেট্রো সেতুগুলিতে ট্রেনগুলি সীমিত গতিতে চলছে।
তিনটি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় জাতীয় রাজধানীর কিছু অংশে জল পরিষেবা প্রভাবিত হবে। মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল বলেছেন জল নেমে যাওয়ার সঙ্গে সরবরাহ স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা হবে।
ইতিমধ্যে পরিস্থিতি মোকাবিলায় কেন্দ্রের কাছে সাহায্য চাওয়ার পাশাপাশি জল ছাড়া বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। কিন্তু কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, এ মুহূর্তে যা পরিস্থিতি, তাতে অতিরিক্ত জল ছাড়তে হবে। পরবর্তীতে জল ঝাড়ার পরিমাণ কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।
হিমাচলপ্রদেশে ধ্বংসযজ্ঞ
জানা গিয়েছে, উত্তরে হিমাচলপ্রদেশে অতি ভারী বৃষ্টির কারণে হরিয়ানা ব্যারেজ ভর্তি হয়ে গেছে। পার্বত্য রাজ্যে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ডেকে এনেছে চলতি বছরের বর্ষা। বাড়িঘর ভেঙেছে এবং সেতুগুলো ভেঙে পড়েছে।
রেল সূত্রে খবর, বন্যার কবলে পড়ে গত পাঁচ দিনে ৩৪২টি ট্রেনের সময়সূচি প্রভাবিত হয়েছে। উত্তর রেলওয়েকে ১৪০টি ট্রেন বাতিল করতে হয়েছে।
আরও পড়ুন: শনি ও রবিবার শিয়ালদহ শাখায় বাতিল বহু লোকাল ট্রেন