Homeখবরদেশনির্বাচনী বন্ড 'আইনত ঘুষ', বিজেপির জন্য 'সোনার ফসল'! ঝাঁঝালো আক্রমণ চিদাম্বরমের

নির্বাচনী বন্ড ‘আইনত ঘুষ’, বিজেপির জন্য ‘সোনার ফসল’! ঝাঁঝালো আক্রমণ চিদাম্বরমের

প্রকাশিত

নয়াদিল্লি: আগামী ৪ অক্টোবর খুলছে নির্বাচনী বন্ড বা ইলেকটোরাল বন্ড (Electoral bond)-এর নতুন পর্ব। এ ধরনের বন্ডকে আদতে ‘আইনত ঘুষ’ হিসেবেই অভিহিত করলেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি চিদাম্বরম (P Chidambaram)। তাঁর মতে, এই বন্ড ‘সোনার ফসল’-এ পরিণত হবে কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপি-র জন্য।

শুক্রবার ২৮তম পর্বের নির্বাচনী বন্ড খোলার অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। যা আগামী ৪ অক্টোবর থেকে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত বিক্রির জন্য খোলা থাকবে। ও দিকে, শীঘ্রই রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ়, তেলঙ্গনা এবং মিজোরামে বিধানসভা নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হতে পারে। এই রাজ্যগুলিতে বিধানসভা ভোটের আগেই সরকারের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে একহাত নিচ্ছে বিরোধীরা।

শনিবার নিজের এক্স (আগের টুইটার) হ্যান্ডলে চিদাম্বরম লেখেন, এ বারের নির্বাচনী বন্ড খুললেও তা হবে বিজেপির জন্য সোনার ফসল। অতীতের পরিসংখ্যানে স্পষ্ট, তথাকথিত বেনামি অনুদানের ৯০ শতাংশই গিয়েছে বিজেপির ভাঁড়ারে। চিদাম্বরমের কটাক্ষ, “অন্তরঙ্গ বন্ধু পুঁজিপতিরা তাঁদের চেকবই খুলবেন। তাতে দিল্লির প্রভুর জন্য শ্রদ্ধাঞ্জলি লিখবেন”।

এর আগে, গত মঙ্গলবার নির্বাচনী বন্ড নিয়ে কেন্দ্রের মোদী সরকারকে বিঁধেছে কংগ্রেস। তাদের অভিযোগ, এই নির্বাচনী বন্ড নরেন্দ্র মোদী অন্যতম ‘পৈশাচিক কাজ’। এর মাধ্যমে দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা এবং গণতন্ত্রকে ক্ষুণ্ণ করছে মোদী সরকার।

নির্বাচনী বন্ড কী

রাজনৈতিক দলগুলিতে আর্থিক স্বচ্ছতা আনার অংশ হিসেবে নগদ অনুদানের বিপরীতে নির্বাচনী বন্ড চালু করেছে কেন্দ্র। নির্বাচনী বন্ডের প্রথম ব্যাচের বিক্রি শুরু হয়েছিল ২০১৮ সালের মার্চ মাসে। শুধুমাত্র স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া বা এসবিআই (SBI) এই বন্ড বিক্রির জন্য অনুমোদিত। কোনো নাগরিক অথবা প্রতিষ্ঠান এই বন্ড কিনতে পারেন। কোনো ব্যক্তি বা কর্পোরেট সংস্থা রাজনৈতিক দলগুলিকে চাঁদা দিতে চাইলে, তিনি বন্ড কিনে দলের হাতে তুলে দেন। রাজনৈতিক দলগুলিকে নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টে সেই বন্ড ভাঙিয়ে নিতে হয়।

নির্বাচন কমিশনে স্বীকৃত যে সমস্ত রাজনৈতিক দল আগের লোকসভা বা বিধানসভা ভোটে অন্ততপক্ষে ১ শতাংশ ভোট পেয়েছে, তারা এই নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহ করতে যোগ্য।

ছোট্ট উদাহরণ

২০২২-এর শেষ দিকে অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস (ADR)-এর একটি প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে গুজরাতে রাজনৈতিক দলগুলির প্রাপ্ত তহবিলের ৯৪ শতাংশই পেয়েছে বিজেপি। রিপোর্ট বলছে, ২০১৮ সালের মার্চ থেকে ২০২২ সালের অক্টোবর পর্যন্ত মোট ১৭৪ কোটি টাকা অনুদান পেয়েছে গুজরাতের রাজনৈতিক দলগুলি। এই ১৭৪ কোটি টাকার মধ্যে বিজেপি একাই পেয়েছে ১৬৩ কোটি টাকা। কংগ্রেস ১০.৫ কোটি। এ ছাড়া অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি পেয়েছে ৩২ লক্ষ টাকা। বাকি ২০ লক্ষ টাকা পেয়েছে অন্য রাজনৈতিক দলগুলি।

আরও পড়ুন: শনির সকাল থেকেই অঝোরে বর্ষণ, রাজ্যের ৩ জেলায় অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা

সাম্প্রতিকতম

সৌরভ গাঙ্গুলি আবার বললেন, তিনি বিরাট কোহলিকে অধিনায়কত্ব থেকে সরাননি

খবর অনলাইন ডেস্ক: ২০২১-এর টি২০ বিশ্বকাপে ভারত গ্রুপ লিগেই বিদায় নিয়েছিল। এর পরেই ভারতের...

দেশের সবচেয়ে নিরাপদ শহর কলকাতা, বলছে এনসিআরবি রিপোর্ট  

খবর অনলাইন ডেস্ক: আবার দেশের সবচেয়ে নিরাপদ শহর হওয়ার সম্মান জুটল কলকাতার। ন্যাশনাল ক্রাইম...

‘সিআইডি’-এর ‘ফ্রেডরিক্‌স’ দীনেশ ফড়নিস মুম্বইয়ের হাসপাতালে প্রয়াত

মুম্বই: প্রয়াত হলেন হিন্দি সিরিয়ালের জনপ্রিয় অভিনেতা দীনেশ ফড়নিস। সিরিয়ালপ্রেমী দর্শকরা তাঁকে ‘সিআইডি’ সিরিয়ালের...

তেলঙ্গনায় মুখ্যমন্ত্রীর দৌড়ে রেবন্ত রেড্ডি, শপথ কবে

হায়দরাবাদ: তেলঙ্গনার পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন রেবন্ত রেড্ডি। কার্যত তাঁর নেতৃত্বেই বিআরএস দুর্গে ফাটল...

আরও পড়ুন

তেলঙ্গনায় মুখ্যমন্ত্রীর দৌড়ে রেবন্ত রেড্ডি, শপথ কবে

হায়দরাবাদ: তেলঙ্গনার পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন রেবন্ত রেড্ডি। কার্যত তাঁর নেতৃত্বেই বিআরএস দুর্গে ফাটল...

মধ্যপ্রদেশ বিজেপির হাতেই, পদ্ম ফুটল রাজস্থান, ছত্তীসগঢ়েও! তেলঙ্গনায় মুখরক্ষা কংগ্রেসের

মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ়, রাজস্থান ও তেলঙ্গানা বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগণনা রবিবার। সকাল ৮টার সময় শুরু হয়...

রাজস্থানে বুক ধুকপুক গহলৌতের, তেলঙ্গানায় সিংহাসন টলমল কেসিআরের, প্রকাশিত ৫ রাজ্যের বুথফেরত সমীক্ষা

নয়াদিল্লি: পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের শেষ দিনে এ বার চর্চায় বুথফেরত সমীক্ষা। মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান,...