আন্তর্জাতিক মঞ্চে ফের ভারতের সাফল্যের মুকুটে যোগ হল নয়া পালক। উত্তর-পূর্বের ইরি সিল্ক পেল আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। দেশের ৭৮তম স্বাধীনতা দিবসের দিনই এই স্বীকৃতি মিলেছে।
গোটা বিশ্বে ভারতীয় সিল্ক ফেব্রিকের যথেষ্ট কদর করা হয়। কিন্তু সিল্ক তৈরির সময় গুটির মধ্যে থাকা ছোট্ট মথকে মেরে ফেলা হয়। এদিকে এখন গোটা বিশ্ব জুড়ে বাড়ছে ভেগান জীবনযাপনের কদর। শুধু খাওয়াদাওয়া নয়, ভেগানরা প্রাণীজ প্রোটিন খাওয়া থেকে বিরত হওয়ার পাশাপাশি চামড়ার বা সিল্কজাত পোশাক-আশাক ও জিনিসপত্র ব্যবহারও করেন না। ভারতের ইরি সিল্কও যেন ভেগান জীবনযাপনের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
উত্তর-পূর্বের ভারতের ইরি সিল্কে এমন এক পদ্ধতি অবলম্বন করা হয় যাতে সিল্ক গুটি থেকে বের করার সময় ছোট্ট পোকা বা মথের প্রাণ কেড়ে নেওয়া হয় না। গুটি থেকে সিল্ক বের করা হলেও গুটির মধ্যে থাকা মথের প্রাণ রক্ষা করা হয়। অসম-সহ উত্তর পূর্ব ভারতের এই সিল্ক পদ্ধতি ইরি সিল্ক নামে পরিচিত। ইরি সিল্ককে তাই বিশ্বের একমাত্র ভেগান সিল্ক বলে মনে করা হয়। এটিকে ইকোফ্রেন্ডলি তথা পরিবেশ-বান্ধব সিল্ক বলে মনে করা হয়। সেই ইরি সিল্কের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি মিলল।
কেন্দ্রীয় সরকারের উত্তর পূর্ব উন্নয়ন মন্ত্রকের অধীনস্থ নর্থ ইস্টার্ন হ্যান্ডিক্রাফটস অ্যান্ড হ্যান্ডলুম ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন (এনইএইচএইচডিসি) ইরি সিল্কের জন্য জার্মানির কাছ থেকে ওয়েকো টেক্স সার্টিফিকেশন ট্যাগ পেয়েছে। গোটা পৃথিবীতেই এই সম্মানকে এক বিরল সম্মান বলে মনে করা হয়।
ভেগান সিল্ক বলে পরিচিত ইরি সিল্ক তৈরির সময় গুটি বা কুকুন থেকে মথ আপনাআপনি বেরিয়ে যায়। তাকে মারতে হয় না। মথ আপনাআপনি বেরিয়ে যাওয়ার পর সিল্ক ব্যবহার করা হয়। পরিবেশ-বান্ধব পদ্ধতিতে তৈরির কারণে ইরি সিল্ককে এই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। কোনো ক্ষতিকারক রাসায়নিক উপাদান ছাড়া সম্পূর্ণ পরিবেশ-বান্ধব পদ্ধতিতে তৈরি ফেব্রিককেই একমাত্র জার্মানির ওয়েকো টেক্স সার্টিফিকেশন ট্যাগ দেওয়া হয়ে থাকে। সেদিক থেকে নিঃসন্দেহে এটা ভারতের মুকুটে নতুন পালক।
আরও পড়ুন
এই ৮ টি ব্র্যান্ড থেকে ৪৫০ টাকার মধ্যে নিতে পারেন পছন্দের ব্যাগি ফিট টি-শার্ট