নয়াদিল্লি: ‘টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন’ বিতর্কে মহুয়া মৈত্রের সাংসদপদ খারিজের সুপারিশ করল লোকসভার এথিক্স কমিটি। জমা পড়ল পাঁচশো পাতার রিপোর্ট। কমিটির মতে, ‘এই ঘটনার তদন্ত করা উচিত ভারত সরকারের’।
বৃহস্পতিবার ফের বৈঠক বসার কথা এথিক্স কমিটির। তার আগে ওই খসড়া রিপোর্ট সামনে এসেছে। তাতে বলা হয়েছে, মহুয়াকে আর সংসদ থাকতে দেওয়া যায় না। অবিলম্বে তাঁর সাংসদ পদ বাতিল করা উচিত। শুধু তাই নয় মহুয়ার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা উচিত বলেও জানিয়েছে নীতি কমিটি। মহুয়ার কার্যকলাপকে ‘অনৈতিক’, ‘অত্যন্ত আপত্তিকর’, ‘অপরাধমূলক’ এবং ‘জঘন্য’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে।
সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, এথিক্স কমিটির সুপারিশে দাবি করা হয়েছে, শ্রীমতি মহুয়া মৈত্র এবং ব্যবসায়ী দর্শন হীরানন্দানির মধ্যে যে টাকার লেনদেনের হদিশ মিলেছে, তাকে ‘quid pro quo’ অর্থাৎ বেআইনি লেনদেন বলে গন্য করা উচিত এবং ভারত সরকারের উচিত, বিষয়টি নিয়ে আইনি পথে, প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে তদন্ত চালানো এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তা শেষ করা।
এন়ডিটিভির খবর অনুযায়ী, ‘অত্যন্ত আপত্তিকর, অনৈতিক, জঘন্য এবং অপরাধী’ বলে মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ঘিরে মন্তব্য সংসদীয় এথিক্স কমিটির। ওই মিডিয়া রিপোর্ট বলছে, মহুয়া মৈত্রর খুব কঠিন শাস্তির দাবি করেছে কমিটির রিপোর্ট। কমিটির আরও সুপারিশ, ‘টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন’ বিতর্কে কৃষ্ণনগরের সাংসদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে আইন ও প্রাতিষ্ঠানিক তদন্ত করা উচিত কেন্দ্রীয় সরকারের’।
এ প্রসঙ্গে আনন্দবাজার অনলাইন-কে মহুয়া বলেন, ‘‘এটা তো প্রথম থেকেই জানা ছিল। যা হবে, দেখা যাবে। ওরা যত বেশি এ সব করবে, আমরা তত বেশি ওদের বিরুদ্ধে লড়ব।’’
গত বৃহস্পতিবার ক্যাশ ফর কোয়েশ্চেন বিতর্কে এথিক্স কমিটির সামনের হাজিরা দিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। কিন্তু মাঝ-পথেই বৈঠক থেকে ওয়াকআউট করেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ-সহ বিরোধীরা। কক্ষের বাইরে চলে তুমুল বিক্ষোভ। বৃহস্পতিবার ফের বৈঠক বসার কথা এথিক্স কমিটির। তার আগে ওই খসড়া রিপোর্ট সামনে এসেছে।
আরও পড়ুন: ‘বালুকে ফাঁসানো হয়েছে’, জ্যোতিপ্রিয়র গ্রেফতারিতে ফের সরব মমতা