শ্রীনগর: ডাল লেকে হাউসবোটে আগুন লেগে মৃত্যু হল তিন বাংলাদেশি পর্যটকের। আগুনে পাঁচটি হাউসবোট ভস্মীভূত হয়ে যায়। কী ভাবে আগুন লাগল, তা এখনও জানা যায়নি। শনিবার ভোর সোয়া ৫টা নাগাদ ডাল লেকের ন’ নম্বর গেটের কাছে এই বিপর্যয় ঘটে।
রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর (এসডিআরএফ) কর্মীরা ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কার করতে করতে তিন পর্যটকের মৃতদেহ উদ্ধার করে বলে আধিকারিকরা জানান। মৃতদের মধ্যে একজন মহিলা।
পুলিশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “মৃত বাংলাদেশি পর্যটকদের পরিচয় জানা গিয়েছে। এঁরা হলেন অনিন্দ্য কৌশল, মোহম্মদ মইনুদ এবং দাস গুপ্ত। এঁরা ‘সাফিনা’ হাউসবোটে ছিলেন।” নাম দেখেই বোঝা যাচ্ছে মৃতদের সম্পূর্ণ পরিচয় এখনও জানা যায়নি। কারণ ‘দাস গুপ্ত’ কারও নাম হতে পারে না। এটা কোনো মৃত পর্যটকের ‘পদবি’। মৃতদের পরিচয় সুনির্দিষ্ট ভাবে জানার জন্য মৃতদেহ থেকে ডিএনএ নমুনা নেওয়া হয়েছে।
আগুন কীভাবে লাগল তা স্পষ্ট করে বোঝা যাচ্ছে না। তবে প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গিয়েছে, হাউসবোট গরম রাখার কোনো সরঞ্জামে ত্রুটির জন্য আগুন লেগে থাকতে পারে। তার পর সেই আগুন পার্শ্ববর্তী হাউসবোটগুলিতে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে পাঁচটি হাউসবোট পুরোপুরি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় বেশ কিছু। আশপাশের ৭টি কুঁড়েঘরেও আগুন লাগে।
কাশ্মীরে এ সময় প্রচুর পর্যটক ভিড় করেন। আগুন আরও ছড়ালে বড়োসড়ো বিপত্তি হতে পারত বলে মনে করছে পুলিশ। পর্যটকদের কাছে বরাবরই আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে ডাল লেক। বহু পর্যটকই ডাল লেকে হাউসবোটে থাকেন। সেই হাউসবোটে অগ্নিকাণ্ডে স্বাভাবিক ভাবেই উদ্বেগ ছড়িয়েছে। ক’দিন আগেই কাশ্মীরে মরশুমের প্রথম তুষারপাত হয়েছে। এই খুশির মধ্যেই ভূ-স্বর্গে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় উদ্বিগ্ন পর্যটকদের একাংশ।
হাউসবোটে আগুন লাগার বড়ো ঘটনা এর আগেও ঘটেছে। ২০২২-এর এপ্রিলে নিগিন লেকের অগ্নিকাণ্ডে সাতটি হাউসবোট পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তবে সেই আগুনে কেউ মারা যাননি বা কেউ জখমও হননি।