মঙ্গলবার সকালে প্রকাশ্যে এল উত্তরকাশীতে ধসে পড়া সুড়ঙ্গের ভিতরে আটকে থাকা শ্রমিকদের প্রথম ভিডিও। সোমবার রাতে উদ্ধারকারীরা ধ্বংসস্তূপের মধ্য দিয়ে একটি ছয় ইঞ্চি পাইপলাইনের মাধ্যমে ক্যামেরা পাঠান সুড়ঙ্গের ভিতরে। আর তাতেই ধরা পড়ে সেখানে আটকে থাকা শ্রমিকদের ছবি।
ন্যাশনাল হাইওয়ে অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড (এনএইচআইডিসিএল)-এর ডিরেক্টর অংশু মনীশ খালখো আগেই জানিয়েছিলেন আটকে পড়া শ্রমিকরা কেমন আছেন, তা জানতে পাইপলাইনের মাধ্যমে ক্যামেরা ঢোকানো হবে। সেই মতোই খাবারের পাইপলাইন দিয়ে একটি এন্ডোস্কোপিক ক্যামেরা পাঠানো হয়। তাতেই এই ছবি ধরা পড়েছে।
ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, সুড়ঙ্গের ভিতরে কর্মীরা কথাবার্তা বলছেন। তাঁদের মধ্যে খাবার বণ্টন করা হচ্ছে। প্রত্যেকেরই মাথায় হেলমেট পরা রয়েছে। শুকনো মুখে দাঁড়িয়ে আছেন তাঁরা। ক্যামেরার দিকে তাকাচ্ছেন কয়েক জন শ্রমিক। তাঁদের মধ্যে এক জন যন্ত্রের মাধ্যমে উদ্ধারকারীদের সঙ্গে কথা বলছেন। কেউ কেউ সুড়ঙ্গের উপরের দিকে তাকাচ্ছেন। মুখে অনিশ্চয়তার ছাপ স্পষ্ট।
ভিডিয়োটি প্রকাশ্যে আসায় শ্রমিকদের পরিবারও বড়ো স্বস্তি পেয়েছে। ভিতরে আটকে রয়েছেন বিহারের বাঁকার বাসিন্দা বীরেন্দ্র কিস্কু। তাঁর ভাই যোগেন্দ্র কিস্কু সংবাদমাধ্য়মের কাছে বলেন, “নীতিন গড়করিজি আমাদের বলেছিলেন যে আড়াই দিনের মধ্যে উদ্ধার কাজ শেষ হবে। আমাদের আশা শেষ হতে বসেছিল। এরই মধ্যে একটা ভালো খবর পেলাম। বীরেন্দ্র অবশ্য ছবিতে নেই, কিন্তু এখন আমরা আবার নতুন করে আশার আলো দেখতে পাচ্ছি।”
গত ১২ নভেম্বর, দীপাবলির ভোরে উত্তরকাশীতে নির্মীয়মাণ ওই সুড়ঙ্গের একটি অংশ ব্রহ্মখাল ও যমুনোত্রীর জাতীয় সড়কের উপর হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। এ ভাবে প্রায় ২০০ মিটার এলাকা ধসে ভেঙে পড়ার পর তাতে আটকে পড়েন ৪১ জন শ্রমিক। সিল্কায়ারা ও দনদলগাঁওের মধ্যে সুড়ঙ্গটি তৈরি করা হচ্ছিল যা চারধাম প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত। সুড়ঙ্গটি তৈরি হলে উত্তরকাশী থেকে যমুনোত্রী ধাম যাওয়ার দূরত্ব ২৬ কিমি কমবে। সেই কাজ করতে গিয়েই নামে বিপর্যয়।
আরও পড়ুন: উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে আটকে থাকা শ্রমিকদের উদ্ধারে সব ব্যবস্থা করবে কেন্দ্র, আশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর