ঝাড়খণ্ডে টানা ভারী বর্ষণের ফলে সুবর্ণরেখা নদীর জলধারণ ক্ষমতা ছাড়িয়ে গিয়ে হঠাৎ করে দেখা দিল হড়পা বান। এর ভয়াবহ প্রভাব পড়েছে পাশের রাজ্য ওড়িশার বালেশ্বর জেলায়। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই জেলার অন্তত ৫০ হাজার মানুষ এই আকস্মিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
সুবর্ণরেখা নদীর জল বিপদসীমা ছাড়িয়ে যাওয়ায় শনিবার বাংলা-ওড়িশা সীমান্ত এলাকায় হঠাৎ করে নদীর জল প্লাবিত হতে থাকে। প্রথমে নিচু এলাকাগুলিতে জল ঢোকে, তার পর একে একে উঁচু এলাকাগুলিও চলে যায় জলের তলায়। নদীর জলবৃদ্ধির অন্যতম কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে ঝাড়খণ্ডে লাগাতার বৃষ্টি এবং দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন (DVC)-এর জলাধার ও বাঁধ থেকে অতিরিক্ত জল ছাড়াকে।
বালেশ্বর জেলার প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ১৭টি গ্রাম পঞ্চায়েত ইতিমধ্যেই জলের তলায় চলে গিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ভোগরাই, বালিয়াপাল ও বস্তা।
জেলাশাসক সূর্যবংশী ময়ূর বিকাশ জানান, “নিচু এলাকাগুলি থেকে মানুষজনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আরও কয়েকটি জায়গায় উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। পর্যাপ্ত ওষুধ ও শুকনো খাবার মজুত রাখা হয়েছে। জরুরি পরিস্থিতির জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবরকম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।”
বর্তমানে ওই অঞ্চলে স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে এবং নদীর পাড়বর্তী গ্রামগুলিতে নজরদারি চালানো হচ্ছে। পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ২৪ ঘণ্টা বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে বন্যা পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে বলে আশঙ্কা।