চণ্ডীগঢ়: কুণ্ডলী-মানেসার-পালওয়াল এক্সপ্রেসওয়েতে নুহ জেলার ধুলাভাত গ্রামের কাছে একটি চলন্ত বাসে আগুন লেগে মৃত্যু আটজনের। জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁদের। তাঁরা ঘটনাস্থলেই মারা যান, এ ছাড়াও হাসপাতালে একজন মারা যান। বাসে থাকা ৬০ জনের মধ্যে কুড়ি জনেরও বেশি পুণ্যার্থী দগ্ধ হয়েছেন। যাঁদের মধ্যে অনেক শিশু ও মহিলাও রয়েছেন।
শুক্রবার রাত দেড়টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে হরিয়ানার কুণ্ডলী-মানেসর-পালওয়াল এক্সপ্রেসওয়েতে। বাসটি মথুরা-বৃন্দাবনের তীর্থ ভ্রমণ সেরে ফিরছিল। সেই সময় বাসে ছিলেন ৬০ জন। তাঁদের প্রায় সকলেই তীর্থযাত্রী। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার একাধিক ছবি সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। যেগুলোতে দেখা গিয়েছে, একটি ফ্লাইওভারের উপর দাউদাউ করে জ্বলছে বাসটি। আগুন নিভলে দেখা যায় বাসটির আর কোনও কিছু অবশিষ্ট নেই।
ঘটনায় প্রকাশ, মাঝ রাতে হঠাৎই বাসের পিছন দিকে আগুন ধরে যায়। সেই সময় যাত্রীরা সকলেই ঘুমোচ্ছিলেন। পিছন থেকে আসা এক বাইক চালক ওভারটেক করে বাসচালককে সতর্ক করেন। বাস দাঁড় করাতেই ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তারাই জল দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। বাসের সামনের দিকে বসা যাত্রীদের উদ্ধার করা গেলেও, পিছনের দিকে বসা যাত্রীদের রক্ষা করা যায়নি। কমপক্ষে ৯ জন যাত্রী অগ্নিদ্বগ্ধ হয়ে মারা যান।
দুর্ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ সরোজ পুঞ্জ, পুনমরা জানান, রাত দেড়টা থেকে ২টোর মধ্যে বাসটি কেএমপির ধুলাভাত গ্রামের সীমান্তে পৌঁছলে বাইক আরোহী এক যুবক তাঁর বাইক পার্ক করে বাসটিকে থামান। বাসের সামনের অংশে আগুন লেগেছে বলে জানান ওই যুবক। আগুন দেখে গ্রামবাসীও ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। তারা বাসের কাচ ভেঙে ভিতরে থাকা যাত্রীদের বের করে আনেন। তবে, বাসটি দাঁড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে আগুন পুরো বাসটিকে গ্রাস করে। গেট ভেঙে এবং জানলার কাচ ভেঙে কয়েকজনকে বের করে আনা হয়। পাশের গ্রামের লোকজনও সাহায্য করেন। তবে, পেছনে বসা আটজন বাস থেকে নামতে না পেরে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা যান। এক জনের মৃত্যু হয় হাসপাতালে
কী ভাবে বাসটিতে আগুন লেগে যায় তা এখনও জানা যায়নি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, শর্ট সার্কিট থেকেই কোনওভাবে বাসের পিছনে থাকা এসির মেশিনে আগুন লেগে যায়। সেখান থেকেই গোটা বাসে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।