বুধবার ইডির হাতে গ্রেফতার হৱ ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। জমি জালিয়াতি মামলায় নাম জড়িয়েছে তাঁর। সূত্রের খবর, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব নিতে চলেছেন চম্পাই সোরেন।
বুধবার সন্ধ্যায় রাজভবনে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন হেমন্ত সোরেন। তার পরেই তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি। বৃহস্পতিবার তাঁকে আদালতে পেশ করবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
এ দিকে, রাজ্যের শাসকদল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার তরফে জানানো হয়েছে, বিধানসভায় তাঁদের দলের নতুন পরিষদীয় নেতা চম্পাই সোরেন। তিনি এখন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী। তাঁকেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীপদে বসানো হবে বলে জানা গিয়েছে।
অভিযোগ, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ৬০০ কোটির জমি কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত। আর্থিক প্রতারণা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতটি সমন এড়িয়ে গিয়েছিলেন। কারণ, তাঁর গ্রেফতারির আশঙ্কা ছিলই। বুধবার তিনি শাসক জোটের বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানেই তাঁর উত্তরসূরি নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়।
কয়েক দিন ধরেই জল্পন চলছিল, হেমন্তের যদি জেল হয় তাহলে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসতে পারেন তাঁর স্ত্রী কল্পনা সোরেন। কিন্তু তা আর হল না। সূত্রের দাবি, চার দলীয় বিধায়কের আপত্তিতেই নিজের স্ত্রীকে মুখ্যমন্ত্রী করতে পারেননি হেমন্ত। তা ছাড়া কোনও রাজ্যে বিধানসভার মেয়াদের শেষ বছরে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে না এবং তাই, কল্পনা সোরেন মুখ্যমন্ত্রী মনোনীত হলেও বিধায়ক নির্বাচিত হতে পারতেন না।
প্রসঙ্গত, ৮১ আসনের ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার ‘ম্যাজিক ফিগার’ ৪১। জেএমএমের সরফরাজ আহমেদের ইস্তফার কারণে এখন বিধায়ক সংখ্যা ৮০। শাসক জোটের রয়েছে ৪৮ জন বিধায়ক। জেএমএম ২৯, কংগ্রেস ১৬, আরজেডির ১ এবং সিপিআইএম লিবারেশন ১। বিরোধী শিবিরে রয়েছেন ৩২ বিধায়ক। বিজেপি ২৫, আজসু ৩, এনসিপি (অজিত) ১, নির্দল ৩। অর্থাৎ ৮ জন বিধায়ক ভাঙাতে পারলেই ঝাড়খণ্ড বিজেপির দখলে চলে আসবে।
আরও পড়ুন: বৃহস্পতিবার কখন অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট পেশ করবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী? কী ভাবে দেখবেন