Home খবর দেশ মণিপুরে ৩ সন্তানের মাকে পুড়িয়ে মারার আগে নৃশংস নির্যাতন করা হয়েছিল, বলছে...

মণিপুরে ৩ সন্তানের মাকে পুড়িয়ে মারার আগে নৃশংস নির্যাতন করা হয়েছিল, বলছে ময়না তদন্তের রিপোর্ট

মণিপুরের জিরিবাম জেলার জৈরাওন গ্রামে ৭ নভেম্বর এক নারকীয় ঘটনার অভিযোগ উঠে। ৩১ বছর বয়সি তিন সন্তানের মা, এক উপজাতি মহিলাকে নির্যাতনের পর পুড়িয়ে মারা হয় বলে অভিযোগ। অজ্ঞাতপরিচয় সশস্ত্র হামলাকারীদের বিরুদ্ধে এই ভয়ঙ্কর অপরাধের অভিযোগ উঠেছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে, তাঁর শরীরে অত্যাচারের চিহ্ন রয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে পেরেক ঠুকে এবং জ্বলন্ত বস্তু দিয়ে আঘাত।

আসামের শিলচর মেডিকেল কলেজে এই ময়নাতদন্ত চালানো হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, মহিলার দেহের ৯৯ শতাংশ পুড়ে যাওয়ায় যৌন নির্যাতনের প্রমাণ সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। রিপোর্ট অনুযায়ী, ‘বাঁ দিকের উরুর ভিতরের অংশে ধাতব পেরেক পাওয়া গিয়েছে’ এবং ‘ডান উরুর পিছনে ক্ষত’ ছিল। এমনকি দেহের হাড়ের টুকরো পর্যন্ত পুড়ে যাওয়ায় দেহটি প্রায় সম্পূর্ণরূপে বিকৃত হয়ে গিয়েছে।

জিরিবাম থানায় দায়ের এফআইআর অনুযায়ী, মহিলার স্বামী জানিয়েছেন যে তাঁর স্ত্রীকে ধর্ষণের পর নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। সেদিন রাতে হামলাকারীরা জৈরাওন গ্রামে ১৭টি বাড়ি লুঠপাট করে আগুন লাগিয়ে দেয়।

কুকি-জো সংগঠনগুলি এই হত্যাকে ‘বর্বরোচিত’ বলে নিন্দা জানিয়েছে। পাহাড় ও উপত্যকার মধ্যে হিংসাত্মক ঘটনাগুলির ফলে কয়েকশো পরিবার এখনও শরণার্থী শিবিরে আটকে রয়েছে।

ফেরজাওল ও জিরিবামের আদিবাসী সুরক্ষা কমিটি কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছে। অপরাধীদের গ্রেফতার করা না হলে চূরাচাঁদপুরের আদিবাসী নেতা ফোরাম আরও হিংসার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। মণিপুর পুলিশের বক্তব্য, জাতিগত হিংসার কারণে শিলচরে ময়নাতদন্ত করতে হয়েছে, কারণ ইম্ফলে দেহ নিয়ে যাওয়া সম্ভব ছিল না।

আরও খবর পড়তে এখানে ক্লিক করুন

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Exit mobile version