কুরিয়ার কেলেঙ্কারির ফাঁদে পড়ে ১৮ লক্ষ টাকা খুইয়েছিলেন এক ব্যক্তি। পুলিশি তৎপরতায় সেই টাকা তিনি ফেরত পেলেন ২০ দিনের মধ্যেই!
ঘটনায় প্রকাশ, গত ২৭ জুন, একটি আন্তর্জাতিক পার্সেল সার্ভিসের এজেন্ট এবং মুম্বই থেকে ‘সাইবার অপরাধ’ আধিকারিক হিসাবে পরিচয় দেওয়া প্রতারকদের ফাঁদে পড়েন ওই ব্যক্তি। মাদক ও পাসপোর্ট বিদেশে পাঠানোর জন্য আধার কার্ড ব্যবহার করার মিথ্যে অভিযোগে ফাঁসানো হয় তাঁকে।
প্রতারিত ব্যক্তির কিছু তথ্য হয়তো জালিয়াতিদের নাগালে ছিল। তারা ওই ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করে মাদক ও পাসপোর্ট বিদেশে পাঠানোর অভিযোগ এনেছিল। এর পর ধাপে ধাপে আইনি সমস্যার বিষয়গুলিকে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে তুলে ধরে। হুমকি দিয়ে প্রতারিত ব্যক্তির কাছ থেকে ১৮ লক্ষ টাকা দাবি করে প্রতারকরা।
সৌভাগ্যবশত, প্রতারণার শিকার হওয়া ব্যক্তি সঠিক সময়ের মধ্যে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। যে কারণে হায়দরাবাদ সাইবার ক্রাইম পুলিশ দ্রুত কাজ করেছে। টাকা অন্য কোথাও সরিয়ে ফেলার আগেই জালিয়াতদের অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেয় পুলিশ।
অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, প্রতারকরা টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পর তা অন্যত্র সরিয়ে ফেলে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে আর সেই সুযোগ পায়নি তারা। অভিযোগ পাওয়া মাত্রই জাল গোটাতে শুরু করেন তদন্তকারীরা। এর ফলে চুরি হওয়া টাকা দ্রুত উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। কেলেঙ্কারির ২০ দিনের মধ্যে অভিযোগকারীকে টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, কুরিয়ার জালিয়াতি নিয়ে উদ্বেগ ক্রমশ বেড়েই চলেছে। প্রতারকরা সাধারণ মানুষকে ফাঁদে ফেলতে নিত্যনতুন কৌশল অবলম্বন করছে। এমন পরিস্থিতিতে আপনি কী ভাবে নিরাপদে থাকবেন? বিস্তারিত পড়ুন এখানে: কুরিয়ার জালিয়াতি ক্রমশ বাড়ছে, আপনি কী ভাবে সতর্ক থাকবেন