নয়াদিল্লি: ভারত ও কানাডা সম্পর্কের তিক্ততার কারণে পঞ্জাবের ব্যবসা-বাণিজ্যেও বড়োসড়ো প্রভাব পড়তে পারে। পঞ্জাব থেকে বিভিন্ন পণ্য কানাডায় রফতানি হয়। এখন পর্যন্ত ব্যবসায় কোনো বিঘ্ন না ঘটলেও উদ্বিগ্ন ব্যবসায়ীরা।
আটা, বিস্কুট, জুস, গুড়, চিনি, বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি ইত্যাদি খাদ্য সামগ্রী পঞ্জাব থেকে কানাডায় যায়। এছাড়া কানাডায় শীতবস্ত্র, হ্যান্ড টুল, বাগান পরিচর্যা করার সরঞ্জামের চাহিদা রয়েছে।
বলে রাখা ভালো, পাঞ্জাবিরা কানাডার মোট জনসংখ্যার প্রায় ৩.৭ শতাংশ। যে কারণে সেখানে পঞ্জাবের ঐতিহ্যবাহী খাবার ও পণ্যের জন্য অনেক দোকান খোলা হয়েছে। যেগুলির বিক্রি প্রতি বছর ক্রমশ বাড়ছে। খাদ্যপণ্যের মধ্যে আটা, বিস্কুট, হিমায়িত খাবার, জুস, গুড়, চিনি, বেকারি, বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি পঞ্জাব থেকে কানাডায় পাঠানো হয়। বেসরকারি কোম্পানির পাশাপাশি মার্কফেড-সহ সরকারি কোম্পানিগুলো এই সব পণ্য রফতানি করে। এর সঙ্গে পঞ্জাবের ঐতিহ্যবাহী পণ্য যেমন কলস, মটকা, ঢোলকি, তবলা, হারমোনিয়াম ইত্যাদি কানাডায় অবস্থিত পঞ্জাবি দোকানে পাঠানো হয়।
পঞ্জাব থেকে যাওয়া পণ্যের বেশিরভাগ কানাডার টরন্টো, ভ্যাঙ্কুভার, ক্যালগারি, উইনিপেগ এবং মন্ট্রিলে রফতানি করা হয়। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, গত দশ বছরে কানাডায় পঞ্জাবের ঐতিহ্যবাহী খাবারের চাহিদা উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়েছে। এটা ক্রমশ বাড়ছে। এমন অবস্থায় সম্পর্কের মধ্যে তিক্ততা থাকলে বড়ো ধরনের ক্ষতির মুখে পড়তে হতে পারে।
শুধু তাই নয়, কানাডার সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের অবনতি পঞ্জাবের পোশাক শিল্পের জন্য একটি বড়ো চ্যালেঞ্জ। পোশাক রফতানিতে শীর্ষে রয়েছে ত্রিপুরা ও পঞ্জাব। এর পাশাপাশি পঞ্জাব থেকে মহিলাদের পোশাকও রফতানি হয়। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সম্পর্কের তিক্ততার প্রভাব পড়তে পারে পঞ্জাবের পোশাক শিল্পেও।
প্রসঙ্গত, কানাডায় খলিস্তানপন্থী নেতা হরদীপ সিংহ নিজ্জর হত্যাকাণ্ডকে ঘিরে ভারত-কানাডা সম্পর্কের টানাপড়েন চলছে। এই খুনের ঘটনায় ভারতীয় এজেন্টদের ‘হাত রয়েছে’ বলে বারবার দাবি করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। এর জেরেই দু’দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক যখন টালমাটাল।
আরও পড়ুন: বারাণসীতে ৪৫১ কোটি টাকার স্টেডিয়াম, প্রবেশপথ থেকে দর্শকাসনে থাকছে একের পর এক চমক