কলকাতা: দীর্ঘ পাঁচ বছর পর আবার শুরু হল ভারত ও চিনের মধ্যে সরাসরি বিমান চলাচল। সোমবার কলকাতা থেকে ইন্ডিগোর ফ্লাইট ৬ই ১৭০৩ চিনের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর গুয়াংঝাউতে অবতরণ করে। বিমানে প্রায় ১৮০ জন যাত্রী ছিলেন।
কোভিড মহামারির সময় ২০২০ সালের গোড়ার শুরুর দিকে দুই দেশের মধ্যে বিমান চলাচল স্থগিত করা হয়েছিল। পরবর্তীকালে সীমান্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর সম্পর্কের অবনতি ঘটে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে দুই দেশ ধীরে ধীরে সম্পর্কে উন্নতি ঘটানোর পথে এগোচ্ছে। গত বছর দুই দেশ সীমান্ত টহল সংক্রান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তিতে পৌঁছোয়।
ভারত সরকার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সরাসরি উড়ান চালু করার ফলে ‘মানুষে-মানুষে যোগাযোগ সহজ হবে’ এবং ‘দ্বিপাক্ষিক বিনিময় স্বাভাবিক করার ব্যাপারে সহায়তা করবে’।
রবিবার রাতে কলকাতা বিমানবন্দরে উড়ান পুনরারম্ভ উপলক্ষ্যে ইন্ডিগো কর্মীরা প্রদীপ জ্বালিয়ে শুভ সূচনা করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চিনা কনসুলেটের সিনিয়র কর্মকর্তা কুইন ইয়ং। তিনি বলেন, “ভারত-চিন সম্পর্কের ক্ষেত্রে এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন।”
আগামী ৯ নভেম্বর থেকে চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইন্সও সাংহাই ও দিল্লির মধ্যে সরাসরি উড়ান চালু করতে যাচ্ছে। সপ্তাহে তিনদিন এই সেবা চালু থাকবে বলে চিনা দূতাবাসের মুখপাত্র এক্স (X)-এ জানিয়েছেন।
দুই দেশের সম্পর্কে উন্নতি ঘটছে
সম্প্রতি একাধিক ঘটনাই ইঙ্গিত দিচ্ছে, যে প্রতিবেশী দুই দেশের সম্পর্ক ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। চলতি বছরের আগস্টে সাত বছর পর প্রথমবারের মতো চিন সফরে যান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (SCO) সম্মেলনের বাইরে তিনি চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এর আগে চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই দিল্লি এসে “উত্তেজনা হ্রাস, সীমারেখা নির্ধারণ ও সীমান্ত বিষয়ক আলোচনায়” যোগ দেন। জুলাই মাস থেকে চিনা পর্যটকদের জন্য পুনরায় ভিসা প্রদান শুরু করে ভারত।


