নৌবহরকে আরও শক্তিশালী করতে চতুর্থ পারমাণবিক শক্তি চালিত ব্যালিস্টিক মিসাইল সাবমেরিন চালু করল ভারত। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং বিশাখাপত্তনমের শিপ বিল্ডিং সেন্টারে (SBC) এই সাবমেরিনটি চালু করেন। নতুন এই সাবমেরিনের ৭৫ শতাংশ দেশীয় প্রযুক্তিতে নির্মিত হয়েছে। বর্তমানে এই নতুন সাবমেরিনের নাম রাখা হয়েছে এস ফোর।
এই সাবমেরিন ভারতকে পারমাণবিক প্রতিরক্ষা সরবরাহ করবে এবং দেশের বিশাল উপকূলীয় এলাকা সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করবে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ১৬ অক্টোবর সাবমেরিন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। ও দিকে তৃতীয় পারমাণবিক চালিত সাবমেরিন INS Aridhaman-এর নির্মাণ কাজও চলছে।
প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে এবং যে কোনও পূর্বানুমানযোগ্য বা অপ্রত্যাশিত শত্রুতার মোকাবিলা করতে ধারাবাহিকভাবে নিজের অস্ত্রভাণ্ডার উন্নত করছে ভারত। এটি ভারতীয় নৌবাহিনীর সাবমেরিন বাহিনীর ক্রমবর্ধমান শক্তির একটি অংশ। এর আগে দুটি পারমাণবিক সাবমেরিন INS Arihant এবং INS Arighaat নৌবহরে যুক্ত হয়েছে। INS Arighat এই বছরের আগস্ট মাসে নৌবহরে অন্তর্ভুক্ত হয়। INS Aridhaman আগামী বছর কমিশন করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সদ্য চালু হওয়া এস৪* এসএসবিএন ৩,৫০০ কিলোমিটার পরিসীমা কে-৪ পারমাণবিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে সজ্জিত, যা উল্লম্ব লঞ্চিং সিস্টেমের মাধ্যমে নিক্ষেপ করা যায়। আইএনএস অরিহন্ত ৭৫০ কিলোমিটার পাল্লার কে-১৫ পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র বহন করলেও এর উত্তরসূরিরা সকলেই আগেরগুলোর আপগ্রেড এবং কেবল কে-৪ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বহন করে। আইএনএস অরিহন্ত এবং আইএনএস আরিঘাত উভয়ই ইতিমধ্যে গভীর সমুদ্রে টহল দিচ্ছে এবং রাশিয়ান আকুলা শ্রেণির একটি পারমাণবিক চালিত আক্রমণকারী সাবমেরিন ২০২৮ সালে লিজে বাহিনীতে যোগ দিতে প্রস্তুত।
গত ৯ অক্টোবর, ক্যাবিনেট কমিটি অন সিকিউরিটি (CCS) দুটি নতুন পারমাণবিক শক্তি চালিত আক্রমণকারী সাবমেরিন তৈরির জন্য অনুমোদন দিয়েছে, যা ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রতিরক্ষা পরিস্থিতির পরিবর্তনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তৈরি করা হবে।
সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, নিজের সামরিক শক্তি বাড়াতে উদ্যোগী ভারত। যে কারণে প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক অনিশ্চয়তার মধ্যে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই পদক্ষেপগুলি নেওয়া হচ্ছে।