ইংরেজি বছর শেষ হতে আর কয়েক ঘণ্টা বাকি। প্রস্তুতি প্রায় শেষলগ্নে বর্ষবরণের। এরই মধ্যে নতুন করে করোনা সংক্রমণ আবারও বাড়ছে। শেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে সংক্রমিতের সংখ্যা ৮৪১। যা শেষ ২২৭ দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের প্রকাশিত তথ্য অনুসারে রবিবার দেশ জুড়ে কোভিড -১৯ আক্রান্ত সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৪ হাজার ৩০৯-এ পৌঁছে গেছে। সকাল ৮টায় প্রকাশিত মন্ত্রকের তথ্য অনুসারে গত ২৪ ঘণ্টায়, দেশে তিনজন কোভিডরোগীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। যেগুলি কেরল, কর্নাটক এবং বিহারে ঘটেছে।
এ দিন নতুন করে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা শেষ ২২৭ দিনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। এর আগে, গত ১৯ মে ৮৬৫টি সংক্রমণ রেকর্ড করা হয়েছিল। উল্লেখযোগ্য ভাবে, গত ৫ ডিসেম্বরের আগে পর্যন্ত দৈনিক সংক্রমণ এক অঙ্কের সংখ্যাতেই ছিল। তার পর থেকে দৈনিক সংক্রমণ ক্রমশ বেড়েছে।
এরই মধ্যে চিন্তার বিষয় হল এ বার বাজারে এসেছে করোনার একটি নতুন প্রজাতি জেএন ডট ওয়ান। গত ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত নতুন এই প্রজাতির করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৪৫ জন। এই নতুন প্রজাতিটি প্রথম ধরা পড়ে কেরলে। তবে ভালো খবর হলে এই নতুন প্রজাতির আক্রমণ থেকে মুক্তির হার ৯৮.৮১ শতাংশ।
বছরের শেষ দিনে দেশের বিভিন্ন দর্শনীয় জায়গায় ভিড় করে মানুষ। বর্ষবরণ এবং নতুন বছরের শুরুতে দেশজুড়ে ফেস্টিভ মুড। ক্লাব, পাব থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিনোদন স্থানগুলিতে উপচে পড়ে ভিড়। পর্যটক গিজগিজ করছে ট্যুরিস্ট স্পটগুলিতেও। ফলে আগামী দু’দিন ভিড় স্থানগুলিতে সতর্কতা অবলম্বন করতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
চিকিৎসকেরা মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহারে জোর দিচ্ছেন। বিশেষত, বর্ষবরণের আনন্দে গা ভাসানো জনতাকে মাস্ক ব্যবহারে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সংক্রমণ ঠেকাতে কড়া নজরদারিও চালাতে বলা হয়েছে প্রত্যেক রাজ্যের সরকারকে।
আরও পড়ুন: বাংলায় প্রতি আসনে একজন ইনচার্জ, লোকসভা নির্বাচনে নয়া কৌশল বিজেপির