কেউ প্রদীপ জ্বালাচ্ছে, কেউ ভজন গাইছে। পুজো-আরতি চলছিল। পরিবেশটা ছিল চমৎকার। আচমকা বিকট শব্দে ফেটে গেল মেঝে। বৃহস্পতিবার রামনবমী উদযাপন চলাকালীন ইনদওরের একটি মন্দিরের মেঝে ধসে নীচে থাকা কুয়োয় গিয়ে পড়ল বেশ কয়েক জন। শহরের স্নেহনগর এলাকার মহাদেব ঝুলেলাল মন্দিরের ঘটনা।
এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। কিছুক্ষণের মধ্যেই জানা যায়, কুয়োর উপর থাকা ছাদ ধসে পড়েছে। বৃহস্পতিবার, রামনবমীর দিন, ইনদওরের যে মন্দিরে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে, তার নীচে একটি কুয়ো রয়েছে। এর উপরে অবস্থিত মন্দির। যে জায়গায় বসে পুজোর্চনা চলছিল, তার নীচে যে পুরনো একটা কুয়ো রয়েছে, সেটা অনেকের কাছেই ছিল অজানা।
জানা যায়, ওই কুয়োর স্ল্যাবের উপরেই ভিড় জমিয়েছিলেন একটা বড়ো অংশের পুণ্যার্থী। অত্যধিক ভিড়ের জেরেই কংক্রিটের স্ল্যাবটি ভেঙে পড়ে এবং তার জেরে কুয়োর ভিতর পড়ে যান বেশ কয়েকজন পুণ্যার্থী। কয়েক মিনিট পরে তোলা ছবিতেও কুয়োর মধ্যে জ্বলন্ত প্রদীপ দেখা গেছে। নীচে পড়ে যাওয়াদের মধ্যে কয়েকজন মহিলা ও শিশুও রয়েছে।
উপস্থিত এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, রামনবমীর দিন হওয়ায় মন্দিরে খুব ভিড় ছিল। পুরনো ওই কুয়োর কংক্রিটের ছাদ এত মানুষের ভার সইতে পারেনি। ওই জায়গায় যে একসঙ্গে বেশি লোক যাওয়া উচিত নয়, সেটাও জানত না অনেকে। যে কারণে এ দিনের দুর্ঘটনা।
খবর ছড়িয়ে পড়তেই ইনদওর প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের প্রতিনিধি দড়ির সাহায্যে নীচে পড়ে যাওয়া লোকজনকে সরিয়ে নিতে শুরু করে। দড়ি ধরে সিঁড়ি বেয়ে একে একে তাদের উপরে তুলে আনা হয়। দশ বছরের এক কিশোরীকেও উদ্ধার করা হয়েছে। সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৯ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, এই ঘটনায় ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১১ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ১০ জন মহিলা, এক জন পুরুষ রয়েছেন। কুয়োতে এখনও অনেকে আটকে রয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সপ্তাহান্তে ঝড়বৃষ্টি জেলায় জেলায়, কতটা প্রভাব পড়বে কলকাতায়