চোপড়া: পঞ্চায়েত নির্বাচনের টিকিট পাওয়াকে কেন্দ্র করে রক্তারক্তি কাণ্ড। বৃহস্পতিবার প্রাণ গেল দুই তৃণমূল কর্মীর। এলোপাথাড়ি গুলিতে তৃণমূলের আরও কয়েক জন আহত হয়েছেন বলে খবর। উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার ঘটনা।
ঘটনায় প্রকাশ, উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার দিঘাপানায় এই ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সেখানে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে বুথ কমিটির বৈঠক চলছিল। ভোটে কাকে প্রার্থী করা যায়, তা নিয়েই ওই বৈঠক বলে জানা যায়। বৈঠকে ফইজুল রহমানের নাম প্রস্তাব করা হয়। সঙ্গে আরও কয়েকটি নামেরও প্রস্তাব আসে। মিটিং শেষে বেরোনোর সময় আচমকাই এলোপাথাড়ি গুলি চলতে শুরু করে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
৭০ বছর বয়সি তৃণমূল কর্মী ফইজুল গুলিতে আহত হন। ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁর মৃত্যু হয়। অন্য দিকে, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজনের মৃত্যু হয়। মৃতের নাম হাসু মহম্মদ। আহত হন আরও চার জন।
এই ঘটনায় রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিশাল পুলিশবাহিনী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পর এলাকার মানুষদের জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু হয়েছে। মৃতের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। কে বা কারা এই খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে খবর পুলিশ সূত্রে।
টিকিট বিলি নিয়ে বচসা যে এমন খুনোখুনিতে পর্যবসিত হবে, তা ভেবেই শিউরে উঠছেন স্থানীয়রা। এই ঘটনায় মৃত ফইজুল রহমানের ছেলের অভিযোগ, তৃণমূলের অন্য গোষ্ঠীর মদতপুষ্ট দুষ্কৃতীদের গুলিতেই তাঁর বাবার মৃত্যু হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এর আগেও চোপড়ায় একাধিক বার শাসক দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের খবর সামনে এসেছে। ইসলামপুরে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে এক সিভিক ভলান্টিয়ারের মৃত্য়ুর খবরও সামনে আসে। এ বারের ঘটনায় ফের জেলায় তৃণমূলের সংগঠন নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।