ভারত মহাসাগরে ক্রমশ বেড়ে চলেছে চিনের নৌ তৎপরতা। এরই মধ্যে, ভারত এখন নিজের দ্বিতীয় পারমাণবিক চালিত সাবমেরিন নিয়ে প্ৰস্তুত। দ্বিতীয় পারমাণবিক সাবমেরিন আইএনএস আরিঘাট বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) নৌবাহিনীর বহরে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে।
এই সাবমেরিন, আইএনএস আরিঘাট ভারত মহাসাগর অঞ্চলে নিরাপত্তা দেবে। যাতে কে ফোর-এর মতো মারাত্মক ক্ষেপণাস্ত্রে সজ্জিত থাকবে। ৩ হাজার কিলোমিটার দূরত্বে আঘাত হানতে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র। একই সঙ্গে আরিঘাটও অরিহন্তের মতো কে ১৫ মিসাইল দিয়ে সজ্জিত হবে। ভারত মহাসাগরে চিনের ক্রমবর্ধমান আধিপত্য মোকাবিলায় ভারতের আরও পরমাণু সাবমেরিন প্রয়োজন বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
এ প্রসঙ্গে বলে রাখা ভালো, ভারতের প্রথম পারমাণবিক সাবমেরিন হল আইএনএস অরিহন্ত। যা ২০১৪ সালে ভারতীয় নৌবাহিনীতে যোগ দেয়। আইএনএস অরিহন্তের তুলনায় আইএনএস আরিঘাট আরও আপডেটেড এবং বিপজ্জনক। ভারতীয় নৌবাহিনী আরও দুটি পারমাণবিক সাবমেরিন তৈরি করছে, যেগুলি ২০৩৫-৩৬ সালের মধ্যে প্রস্তুত হয়ে যাবে।
আইএনএস আরিঘাটের বিশেষত্ব
ভারতের দ্বিতীয় পারমানবিক চালিত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সাবমেরিন অর্থাৎ এসএসবিএন আইএনএস আরিঘাট।
আইএনএস আরিঘাট উন্নত প্রযুক্তি ভেসেল এটিভি প্রকল্পের অধীনে বিশাখাপত্তনমের জাহাজ নির্মাণ কেন্দ্রে নির্মিত হয়েছে।
এই পারমাণবিক চুল্লি চালিত সাবমেরিন একটি সাধারণ সাবমেরিনের চেয়ে দ্রুত গতিতে চলতে পারে। শুধু তাই নয়, এটি ভূপৃষ্ঠে চলাচলকারী জাহাজের গতির সঙ্গেও সাযুজ্য রাখতে পারে।
সাধারণ সাবমেরিন কয়েক ঘণ্টা জলের নিচে থাকতে পারলেও এই সাবমেরিন কয়েক মাস জলের নিচে থাকতে পারে।
আইএনএস আরিঘাট জলের পৃষ্ঠে ১২-১৫ নটের বেশি গতিতে অর্থাৎ ২২ থেকে ২৮ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা গতিতে চলতে পারে।
এটি সমুদ্রের গভীরতায় ২৪ নট গতিতে অর্থাৎ ঘন্টায় ৪৪ কিলোমিটার বেগে চলতে পারে।
সাবমেরিনটিতে আটটি লঞ্চ টিউব থাকবে।
আইএনএস আরিঘাটের দৈর্ঘ্য ১১১.৬ মিটার, প্রস্থ ১১ মিটার এবং উচ্চতা ৯.৫ মিটার।
সাবমেরিনটির ওজন ৬ হাজার টন।
সাবমেরিন মিসাইল হামলা চালাতে সক্ষম আইএনএস আরিঘাট, অত্যাধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা, সামুদ্রিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং অ্যান্টি-রেডিয়েশন সুরক্ষা ব্যবস্থায় সজ্জিত।
আইএনএস আরিঘাটে আইএনএস অরিহন্তের তুলনায় ক্ষেপণাস্ত্রের সংখ্যা দ্বিগুণ