বেঙ্গালুরু: ইনস্টাগ্রাম পেজের মাধ্যমে মহাকাশপ্রেমীদের সঙ্গে আড্ডা জমালেন ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো)-র চেয়ারম্যান এস সোমনাথ। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চলে এই কথোপকথন। সেখান থেকেই উঠে এল বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
ইসরো চেয়ারম্যান কথা দিলেন, আগামী মে মাসে আবারও মহাকাশপ্রেমীরা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন। তরুণ প্রজন্মের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের জন্যই এই আয়োজন। এই কথোপকথনের সময় সোমনাথ বলেন, বেসরকারি সংস্থাগুলি মহাকাশকে আরও সুলভ করে তুলবে এবং এই ক্ষেত্রে গবেষণার গতি বাড়াতে সাহায্য করবে।
শনিবার ইসরো প্রধান সোমনাথ বলেন, “ইতিমধ্য়েই ভারতের এমন দুটি সংস্থা রয়েছে যারা মহাকাশ ক্ষেত্রে কাজ করছে। সেগুলি হল স্কাইরুট অ্যারোস্পেস এবং অগ্নিকুল কসমস । ভারতকে এভাবে এগিয়ে যেতে দেখে আমরা উচ্ছ্বসিত। এই সংস্থাগুলি ইতিমধ্যে রকেট পরীক্ষা করেছে।”
স্পেসএক্স, এমন একটি বেসরকারি সংস্থা, বেশিরভাগ দেশের তুলনায় মহাকাশ প্রযুক্তিতে বেশি অবদান রেখেছে। এ ব্যাপারে এস সোমনাথ বলেন, বেসরকারি সংস্থাগুলিকে রকেট ইঞ্জিন তৈরিতে উৎসাহিত করা আমেরিকার ঐতিহ্য। স্পেসএক্সের ক্ষেত্রে মানবচালিত মহাকাশ যান গবেষণার কাজকেও তারা উৎসাহিত করে। তেমন যানবাহন ভারতেও তৈরি করা যেতে পারে।
তিনি বলেন, এই কোম্পানিগুলো প্রযুক্তির অগ্রগতি, খরচ কমাতে এবং মহাকাশকে আরও সহজলভ্য করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এমনকি ভারতের বেসরকারি সংস্থাগুলির পক্ষেও এই ধরনের ক্ষমতা বিকাশ করা সম্ভব বলে আশাপ্রকাশ করেন তিনি।
চন্দ্রযান-৪ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে সোমনাথ বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা করেছেন যে ভারতের লক্ষ্য ২০৪০ সালে চাঁদে অবতরণের। চন্দ্রযান-৪ হবে এই লক্ষ্যে প্রথম পদক্ষেপ। মিশনের লক্ষ্য হল চাঁদে একটি বিশেষ যান পাঠানো, নমুনা সংগ্রহ করা এবং তাদের পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা।”
আরও পড়ুন: নিখোঁজ ‘তারক মেহতা’ খ্যাত গুরুচরণ সিং শীঘ্রই বিয়ে করতেন, অভিনেতা আর্থিক সংকটেও পড়েছিলেন