Home খবর দেশ ‘ডুবন্ত শহর’ জোশীমঠকে বাঁচানোর চেষ্টায় বিশেষ পরিকল্পনা কেন্দ্রের

‘ডুবন্ত শহর’ জোশীমঠকে বাঁচানোর চেষ্টায় বিশেষ পরিকল্পনা কেন্দ্রের

0

নয়াদিল্লি: ফা‌টলে আতঙ্ক বাড়ছে ক্রমশ। দিশাহারা বাসিন্দারা। জোশীমঠ নিয়ে উদ্বিগ্ন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গোটা বিষয়টি তিনি ব্যক্তিগত ভাবে তদারকি করছেন। রবিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের পর জানা গিয়েছে, উত্তরাখণ্ড সরকারকে সার্বিক পরিকল্পনা রচনা ও উদ্ধার কাজে সমস্ত রকমের সাহায্য করছে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় পরিস্থিতি পর্যালোচনা বৈঠকে বসেছিল রবিবার। কী ভাবে জোশীমঠ এলাকার ধস ঠেকানো যায় এবং পরিস্থিতির মোকাবিলা করা যায়, সে ব্যাপারে আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

জোশীমঠের সমস্যার সমাধানে রবিবার বিশেষজ্ঞ কমিটি গড়েছে কেন্দ্র। সাতটি সংস্থার সদস্যদের নিয়ে তৈরি কমিটি পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে সমস্যা সমাধানের উপায় সুপারিশ করবে। জাতীয় বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট, জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া, আইআইটি রুরকি, ওয়াদিয়া ইনস্টিটিউট অব হিমালয়ান জিওলজি, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হাইড্রোলজি অ্যান্ড সেন্ট্রাল বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে কমিটি জোশীমঠ নিয়ে দ্রুতই তাঁদের রিপোর্ট দেবেন। এ ছাড়াও হায়দরাবাদের ন্যাশনাল রিমোট সেন্সিং সেন্টার এবং দেহরাদুনের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব রিমোট সেন্সিং-কে স্যাটেলাইট চিত্রের মাধ্যমে জোশীমঠের গবেষণামূলক রিপোর্ট ছবি-সহ জমা দিতে বলা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “একটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই পুনর্গঠনের পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে। ক্রমাগত ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ করতে হবে। এই সুযোগটি ব্যবহার করে, জোশীমঠের জন্য একটি সংবেদনশীল নগর উন্নয়ন পরিকল্পনাও তৈরি করা উচিত, যা ঝুঁকি এড়াতে সহায়ক হবে”।

সোমবার পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখতে জোশীমঠ যাচ্ছেন বর্ডার ম্যানেজমেন্ট সচিব এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষের সদস্যরা। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে উত্তরাখণ্ড সরকারকে সব রকমের সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

এরই মধ্যে চর্চায় উঠে এসেছে এনটিপিসি হাইডেল প্রকল্পের টানেলে বিস্ফোরণের ঘটনা। এনডিটিভি-র রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত মাসে মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামিকে এ বিষয়ে তিনবার চিঠি লিখেছিলেন জোশীমঠের বাসিন্দারা।

ওই চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রীকে অবহিত করেছিলেন কাছাকাছি নির্মীয়মান এনটিপিসি হাইডেল প্রকল্পের টানেলে বিস্ফোরণের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে। সতর্কতামূলক সেই চিঠিগুলিতে বলা হয়েছিল, পবিত্র শহর থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে নির্মীয়মান প্রকল্পের বিস্ফোরণের কারণে মাটি কাঁপতে শুরু করে এবং বাড়ি এবং রাস্তাগুলিতে প্রাথমিক ফাটল দেখা দেয়। আতঙ্কিত বাসিন্দারা মুখ্যমন্ত্রীকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। তবে কোনো প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। বিস্তারিত পড়ুন এখানে: তলিয়ে যাচ্ছে জোশীমঠ! চর্চায় এনটিপিসি হাইডেল প্রকল্পের টানেলে বিস্ফোরণের ঘটনা

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Exit mobile version