গত ১০ মে কর্নাটকের ২২৪টি বিধানসভা আসনে অনুষ্ঠিত হয়েছিল ভোটগ্রহণ। শনিবার সেই রাজ্যে ভোট গণনা। ভোটগ্রহণ পর্ব শেষ হতেই প্রায় সব বুথ ফেরত সমীক্ষা সম্ভাব্য আসন প্রাপ্তির নিরিখে কংগ্রেসকে এগিয়ে রেখেছিল। তবে ত্রিশঙ্কু বিধানসভার আভাসও মিলেছিল সেই সমীক্ষায়। যদিও বিজেপি-র তরফে ততটা গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না ওই বুথ ফেরত সমীক্ষাকে। এমনকী পাঁচ বছর পর পর সরকার পরিবর্তনের অলিখিত প্রথাকেও হিসেবের বাইরে রাখতে চাইছে শাসক দল।
এর আগে গত ২০১৮ সালের বিধানসভা ভোটে বিজেপি পেয়েছিল ১০৪টি আসন, কংগ্রেস ৮০ ও জেডিএস ৩৭টি আসনে জয়ী হয়। এছাড়াও বিএসপি একটি, কেজিপেজি একটি ও নির্দল একটি আসন পেয়েছিল। সে বার জেডিএস-কে সঙ্গে নিয়ে সরকার গড়ে কংগ্রেস। যদিও সেই সরকার স্থায়ী হয়নি। এ বারও আলোচনায় উঠে এসেছে কংগ্রেস-জেডিএস ফরমুলা।তবে জেডি(এস) নেতা এইচ ডি কুমারস্বামী আজ সকালে বলেছেন, “এখনও পর্যন্ত আমার সঙ্গে কেউ যোগাযোগ করেননি। আমার কোনও চাহিদা নেই। আমার ছোট দল।”
প্রসঙ্গত, কর্নাটকে মোট আসন সংখ্যা ২২৪। এই রাজ্যে ‘ম্যাজিক ফিগার’ ১১৩। নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এবছর কর্নাটক বিধানসভা নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৭৩.১৯ শতাংশ। যা ২০১৮ সালের ভোটদানের হারকে ছাপিয়ে গিয়েছে।