২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে একের পর এক চমক। প্রাক্তন রাজপরিবারের ১০ জনেরও বেশি সদস্যকে টিকিট দিয়েছে বিজেপি। দেশের বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে সরাসরি নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তাঁরা। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ আবার টিকিট পাওয়ার পরই রাজনীতি শুরু করছেন। অর্থাৎ, এর আগে প্রত্যক্ষ রজনীতির সঙ্গে এঁদের অনেকেরই কোনো সম্পর্ক ছিল না।
ওড়িশা
ওড়িশায় রাজবংশের দুই সদস্য সঙ্গীতা কুমারী সিং দেব এবং মালবিকা কেশরী দেবকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। সঙ্গীতা কুমারী সিং দেব পাটনাগড়-বোলাঙ্গীরের এবং মালবিকা কেশরী দেব কালাহান্ডি রাজ্যের রাজপরিবারের সদস্য।
রাজস্থান
রাজস্থান থেকে বিজেপি রাজপরিবারের দুই সদস্যকে টিকিট দিয়েছে। ঝালাওয়ার বারান লোকসভা আসন থেকে রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজের ছেলে দুষ্যন্ত সিংকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। বসুন্ধরা রাজে গোয়ালিয়রের প্রাক্তন সিন্ধিয়া রাজপরিবারের সদস্য, যিনি দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতিতে রয়েছেন। দুষ্যন্ত সিং চার বছর ধরে ঝালাওয়ার বারানের সাংসদ। তাঁর ঠাকুরমা বিজয়ারাজে সিন্ধিয়া ছিলেন বিজেপির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। রাজসামন্দ লোকসভা আসন থেকে মহিমা সিংকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। যিনি মেওয়ার রাজপরিবারের বধূ।
মধ্যপ্রদেশ
মধ্যপ্রদেশের গুনা থেকে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন আরেক সিন্ধিয়া রাজবংশের সদস্য এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। ২০১৯ সালে, তিনি একই আসন থেকে কংগ্রেসের টিকিটে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন এবং হেরেছিলেন। বর্তমানে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া রাজ্যসভার সাংসদ।
কর্নাটক
কর্নাটকের মহীশূর লোকসভা আসন থেকে বর্তমান সাংসদ প্রতাপ সিমহার টিকিট বাতিল করেছে বিজেপি। দল এখান থেকে মহীশূরের প্রাক্তন রাজপরিবারের বংশধর যদুবীর কৃষ্ণদত্ত চামরাজা ওয়াদিয়ারকে টিকিট দিয়েছে।
উত্তরাখণ্ড
উত্তরাখণ্ডের তেহরি গাড়ওয়াল আসন থেকে বর্তমান সাংসদ এবং তৎকালীন তেহরি-গড়ওয়াল রাজ্যের রানী মালা রাজ্য লক্ষ্মী শাহকে (৭৩ বছর) টিকিট দিয়েছে বিজেপি। তিনি কাঠমান্ডুতে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৭৫ সালে তেহরি-গড়োয়ালের মহারাজা মনুজেন্দ্র শাহ সাহেব বাহাদুরকে বিয়ে করেন।
পঞ্জাব
পঞ্জাবের পাতিয়ালা লোকসভা আসন থেকে, বিজেপি রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংয়ের স্ত্রী প্রনীত কৌরকে টিকিট দিয়েছে, যিনি পাতিয়ালার প্রাক্তন রাজপরিবারের অন্তর্গত। প্রনীত কৌর ১০৯৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত কংগ্রেসের টিকিটে পাতিয়ালা আসনের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন।
পশ্চিমবঙ্গ
বাংলায় ‘রাজমাতা’/ ‘রানিমা’ অমৃতা রায়কে ময়দান কৃষ্ণনগর আসনের টিকিট দিয়েছে বিজেপি। তিনি রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের পরিবারের সদস্য়। কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের টিকিটে মহুয়া মৈত্র দাঁড়িয়েছেন।
ত্রিপুরা
পূর্ব ত্রিপুরা লোকসভা আসন থেকে, বিজেপি ত্রিপুরার মাণিক্য রাজবংশের অন্তর্গত মহারানি কৃতি সিং দেববর্মাকে প্রার্থী করেছে। তাঁর স্বামী যোগেশ্বর রাজ সিং কংগ্রেস নেতা ছিলেন। তিনি তিপরা মোথা পার্টির নেতা প্রদ্যোৎ কিশোর মানিক্য দেববর্মার বোন এবং এটিই তাঁর প্রথম নির্বাচন।