বিজেপি-বিরোধী ২৮টি দলের ‘ইন্ডিয়া’ জোটে আসন বণ্টন এখনও হয়নি। ইতিমধ্যেই জোটের অন্তর্ভুক্ত দলগুলো নিজেদের দাবি পেশ করতে শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট করে দিয়েছেন, জোট সারা ভারতে থাকবে, বাংলায় একা লড়বে তৃণমূল। এ বার উদ্ধব ঠাকরের দল শিবসেনা (ইউবিটি)-ও মহারাষ্ট্রে প্রাপ্য আসনের দাবিতে সরব।
শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত বলেছেন, “ভেঙে যাওয়ার পরেও আমরা মহারাষ্ট্রে বৃহত্তম দল। আমরা ২৩টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি। গত নির্বাচনে আমরা এর মধ্যে ১৮টি আসনে জয়ী হয়েছিলাম। এ বারও আমরা একই সংখ্যক আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব”। একইসঙ্গে রাউত বলেন, শিবসেনা, কংগ্রেস এবং এনসিপি (শরদ পওয়ারের দল) লোকসভা ভোটে মহারাষ্ট্রে একসঙ্গে লড়বে।
আসন বণ্টন প্রসঙ্গে তাঁর সাফ কথা, “মহারাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় দল হল শিবসেনা, কংগ্রেস একটি জাতীয় দল। কংগ্রেসের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে আমাদের আলোচনা ঠিকঠাকই এগোচ্ছে। আমরা বলেছি মহারাষ্ট্রের ২৩টি লোকসভার আসনে শিবসেনা (ইউবিটি) লড়ছে। আমরা আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে জয়ী আসন নিয়ে পরে আলোচনা হবে। কংগ্রেস, এনসিপি এবং শিবসেনা মহারাষ্ট্রে একসঙ্গে কাজ করবে। এতে কোনো দলেরই কোনো সমস্যা নেই”।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে কে হবেন ‘ইন্ডিয়া’ জোটের মুখ? এমন প্রশ্নের জবাবে রাউত বলেন, পরবর্তীতে এ বিষয়ে একসঙ্গে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কথা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রাহুল গান্ধীর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সব গুণ রয়েছে। আর নীতীশ কুমার তো নিজেই অস্বীকার করেছেন যে তাঁর কোনো পদের ইচ্ছা নেই।
উল্লেখ্য, গতকালই দলের কর্মীসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এই জোট (ইন্ডিয়া) সারাভারতে থাকবে। বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেস লড়াই করবে। কারণ, তৃণমূলই পারে বিজেপিকে শিক্ষা দিতে। বাংলা সারা ভারতকে পথ দেখাবে। বিজেপি আর সিপিএমকে ভোট নয়”। তিনি বুঝিয়ে দিতে চেয়েছেন, সারা দেশে বিজেপি-বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’ যেমন লড়াই করছে তেমনই করবে। কিন্তু বাংলায় তৃণমূল একার শক্তিতেই বিজেপির বিরুদ্ধে লড়বে। অর্থাৎ, বাংলার ভোটে জোট নয়।
আরও পড়ুন: এই প্রথম! প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরার নাম এ বার ইডি-র চার্জশিটে