দলের ভিতরে ও বাইরে ‘চাপ’ বাড়ছে মহুয়া মৈত্রের। সংসদে প্রশ্ন করার জন্য একজন শিল্পপতির কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা ও উপহার গ্রহণের অভিযোগ ওঠার পর মহুয়ার সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখেছে তৃণমূল। অন্য দিকে, তৃণমূল সাংসদের পাশে দাঁড়ালেন লোকসভায় কংগ্রেস দলনেতা তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী।
মহুয়ার বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ তুলেছেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। তাঁর অভিযোগ, ব্যবসায়ী হীরানন্দানির কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে লোকসভায় আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন মহুয়া। দুবে অভিযোগ করার আগেই অবশ্য আইনজীবী জয় অনন্ত দেহাদরি সিবিআই প্রধানকে চিঠি লিখে একই অভিযোগ করেছিলেন।
কী বলছে তৃণমূল?
বৃহস্পতিবার এই অভিযোগ আরও জোরালো হয়ে ওঠে যখন দুবাই-ভিত্তিক ব্যবসায়ী দর্শন হীরানন্দানি স্বাক্ষরিত একটি হলফনামায় অভিযোগ স্বীকার করে নেওয়া হয়। এর পরেই তৃণমূল সাফ জানিয়ে দেয়, দল এই বিষয়ে জড়াবে না। দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, “মহুয়ার ঘটনায় তৃণমূল কোনো মন্তব্য করবে না”। এর থেকে স্পষ্ট হয়ে গেল মহুয়ার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ থেকে দলকে দূরে সরিয়ে নেওয়ার পথই নিচ্ছে তৃণমূল। এ বার সেটাই স্পষ্ট করলেন কুণাল।
উল্লেখযোগ্য ভাবে, তৃণমূলনেত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখনও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। দুর্গাপুজোর উদ্বোধন উপলক্ষে তিনি গত কয়েকদিন ধরে ভার্চুয়াল মাধ্যমে কথা বলছেন, কিন্তু মহুয়া সম্পর্কে একবারও মন্তব্য করেননি। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।
মহুয়ার পাশে অধীর!
এ বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে মহুয়াকে সমর্থন করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। আনন্দবাজার অনলাইন-কে তিনি বলেন, ‘‘আমি মনে করি না মহুয়া মৈত্র কোনো ভুল করেছেন। সাংসদ প্রশ্ন তুলবেনই। কিন্তু অপছন্দের প্রশ্ন হলে তাঁর মুখ বন্ধ করা হবে এটা কোনো গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় হতে পারে না।’’ কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদের পাশে দাঁড়িয়ে বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ আরও বলেন, ‘‘কোনো সরকারের উচিত নয় কোনও একজন বা দু’জন শিল্পপতির পাশে দাঁড়ানো।’’