নয়াদিল্লি: এথিক্স কমিটি থেকে চিত্কার করতে করতে ওয়াক আউট করেন মহুয়া মৈত্র। অভিযোগ, মহুয়াকে জিজ্ঞালা করা হয়েছে, রাতে কার সঙ্গে ফোন কথা বলেন? বৈঠক থেকে বেরিয়ে এসেই লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে চিঠি লিখে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ।
টাকার বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন কাণ্ডে কাণ্ডে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা নাগাদ এথিক্স কমিটির সামনে হাজিরা দেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। কমিটি সূত্রের খবর, প্রথমে সংসদের প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের কয়েক জনের বয়ান নথিবদ্ধ করা হয়। তার পর মহুয়ার বয়ান নেওয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদ-পর্বের প্রায় আড়াই ঘণ্টা অতিক্রান্ত হওয়ার পর একটি বিরতি হয়। তার পর আবার জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। তখনই বৈঠক থেকে বেরিয়ে আসেন মহুয়া-সহ বিরোধী সাংসদেরা।
ঘুষ নিয়ে সংসদে প্রশ্ন তোলার অভিযোগের প্রেক্ষিতে তৃণমূল সাংসদ মহুয়াকে তাঁর বক্তব্য জানার জন্য ডেকে পাঠিয়েছিল লোকসভার এথিক্স কমিটি। তবে বৈঠক থেকে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমকে মহুয়া বলেন, ‘‘এটা কী ধরনের বৈঠক? ওঁরা নোংরা প্রশ্ন করছেন।’’ মহুয়াকে অনৈতিক এবং অপমানজনক প্রশ্ন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন এথিক্স কমিটির সদস্য, বিএসপির সাংসদ দানিশ আলিও।
এর পর লোকসভার স্পিকারকে তিন পাতার একটি চিঠি লেখেন মহুয়া। তাতে এক ডজন পয়েন্ট উল্লেখ করেছেন তৃণমূল সাংসদ। তাঁর অভিযোগ, যে কায়দায় তাঁকে প্রশ্ন করেছেন এথিক্স কমিটির চেয়ারম্যান, তা মর্যাদাহানিকর। তাঁর আরও অভিযোগ, তাঁকে অপ্রাসঙ্গিক, ব্যক্তিগত সমস্ত প্রশ্ন করা
চিঠিতে মহুয়া লিখেছেন, তিনি গত রাতে কার সঙ্গে, কত বার ফোনে কথা বলেছেন, তার কল রেকর্ডের বিস্তারিত তথ্য জানতে চান কমিটির চেয়ারম্যান। লোকসভার স্পিকারের উদ্দেশে মহুয়া লিখেছেন, ‘‘দেশের শীর্ষ আদালত বলেছে, ব্যক্তিগত বিষয় গোপন রাখা নাগরিকের অধিকার। সেখানে আমায় ব্যক্তিগত বিষয় নিয়েই জানতে চাওয়া হয়।’’
অন্য দিকে, এথিক্স কমিটির চেয়ারপার্সন বিনোদ সোনকার বলেছেন, জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় সহযোগিতা করেননি মহুয়া। প্রশ্নের জবাব এড়াতে বেরিয়ে যান। তাঁর কথায়, “মহুয়া মৈত্র কমিটির তদন্তে সহযোগিতা করেননি। বিরোধী সদস্যরাও রেগে গিয়ে অভিযোগ তোলেন এবং বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন বাকি থাকতেই হঠাৎ বৈঠক থেকে বেরিয়ে যান”। একই সঙ্গে তাঁর অভিযোগ, “প্যানেলের কাজ এবং আমার বিরুদ্ধে আপত্তিকর শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে।”
কমিটির আরেক সদস্য অপরাজিতা সারঙ্গী বলেছেন, “দর্শন হীরানন্দানির হলফনামা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে রেগে যান মহুয়া মৈত্র। সেসময় উদ্ধত আচরণ করতে শুরু করেন তিনি”।
আরও পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গকে সামনে রেখে পূর্বভারতে আরও শক্তিশালী উপস্থিতি তৈরি করতে চাইছে অশোক লেল্যান্ড