সন্দেশখালির জনবিক্ষোভের সময় অভিযোগ ওঠে জোর করে জমি দখল করে ভেড়ি তৈরি করার। সেই ভেড়িতে মাছ চাষ হলেও লিজের টাকা পাননি জমির মালিক। শাসকদলের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগের মধ্যে ভেড়ি লিজের টাকা না দেওয়া ছিল অন্যতম। তাই এবার ভেড়ি নিয়ে নতুন পলিসি আনবে রাজ্য সরকার মঙ্গলবার এক জনসভা এমনটাই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বসিরহাটে তৃণমূল প্রার্থী হাজি নরুল ইসলামের সমর্থনে প্রচারসভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন,‘আপনাদের এখানে অনেক মাছের ভেড়ি আছে। অনেকে সেই ভেড়িগুলো দখল করে রেখেছে। মাছের ভেড়ি নিয়ে পলিসি করছি। যার ভেড়ি, সেই চাষ করবে। কারও ভেড়ি জোর করে কেড়ে নেওয়া যাবে না। আর সরকারকে রেভিনিউটা দিতে হবে।’
আন্দোলন পর থেকেই সন্দেশখালি বাসিন্দাদের দাবি, এলাকায় ‘দিদি’ একবার আসুন তিনি এলাকা ঘুরে দেখুন। মঙ্গলবার বসিরহাটের সভা থেকে মমতা জানিয়ে দেন তিনি কবে আসবেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘হাজি নুরুল যেদিন জিতবে, আমি তারপরের দিনই প্রথম ভিজিটে সন্দেশখালি যাব। আমি দেখতে যাব।’
পাশাপাশি তিনি মানুষের ক্ষোভ-অভিযোগ প্রসঙ্গে বলেন, ‘যদি মনে করেন, কারওর উপর রাগ আছে আপনারা বাড়িতে চিঠি পাঠিয়ে দেবেন। আমি দেখে নেব। জরুরি ভিত্তিতে দেখে নেব। আমরা বাড়িতে লক্ষ-লক্ষ চিঠি আসে।’
এদিন সভা থেকে মমতা বিজেপিকেও নিশানা করেন। তিনি বলেন, ‘সন্দেশখালি নিয়ে ওঁরা আবার প্ল্যান করছে। বাবুরা আবার যাচ্ছেন। হিংসা ছড়ানোর পরিকল্পনা করছেন। যে দাঙ্গা লাগাবে, তাঁকে ছাড়ব না। ভোটের আগে বিজেপির প্ল্যান ছিল সন্দেশখালি। বিজেপির পার্টি অফিস থেকে কোটি-কোটি টাকা উদ্ধার করল। আর যে ধরল তাঁকে ইলেকশন কমিশন বদলি করে দিল, বাহ্ কী সুন্দর ব্যবস্থা!’