খবরঅনলাইন ডেস্ক: জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের (G20 Summit) নৈশভোজে উপস্থিত থাকাকে কেন্দ্র করে বিরোধী ‘ইন্ডিয়া’ (INDIA) জোটের ঐক্যবদ্ধতা প্রমাণিত হল না। ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর ডাকা ওই ডিনার যেমন বিরোধী দলশাসিত বেশ কিছু রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বয়কট করেন তেমনই বিরোধী দলগুলির বহু মুখ্যমন্ত্রী তাতে যোগ দেন।
যে সব বিরোধী মুখ্যমন্ত্রী ওই ডিনারে যোগ দেন তাঁদের মধ্যে রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সরেন এবং তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্টালিন। আন্তর্জাতিক নেতাদের সঙ্গে এঁদের কথাবার্তা বলতে দেখা যায়।
কংগ্রেসশাসিত রাজ্যগুলির বেশির ভাগ মুখ্যমন্ত্রী ওই ডিনারে গরহাজির ছিলেন। একমাত্র ব্যতিক্রম হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁকে জড়িয়ে ধরেন।
কংগ্রেসশাসিত তিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী রাজস্থানের অশোক গেহলট, ছত্তীসগঢ়ের ভূপেশ বাঘেল এবং কর্নাটকের সিদ্দারামাইয়া নিরামিষ ডিনারে হাজির ছিলেন না। কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন নৈশভোজ বয়কট করেন। আরও যে সব বিরোধী মুখ্যমন্ত্রী ডিনারে গরহাজির ছিলেন তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য তেলঙ্গানার কে চন্দ্রশেখর রাও এবং ওড়িশার নবীন পট্টনায়ক।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক তৃণমূল নেতা ডিনার বয়কট করা প্রসঙ্গে বলেন, “যদি অশোক গেহলট, ভূপেশ বাঘেল এবং সিদ্দারামাইয়ার মতো কংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রী এবং কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন ডিনার বয়কট করে থাকেন, তা হলে সেটা তাদের সমস্যা। সব বিষয়ে আমরা কংগ্রেসের মতে হ্যাঁ করতে পারি না। ভারতের রাষ্ট্রপতির ডাকা জি২০ ডিনারের সঙ্গে রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই।”
অশোক গেহলট ও ভূপেশ বাঘেল অভিযোগ করেন, দিল্লি বিমানবন্দরে তাঁদের বিমান নামানোর অনুমতি দেওয়া হয়নি। সরকারি আধিকারিকরা অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেন। কংগ্রেস হাইকমান্ডের তরফে জানানো হয়েছে, ডিনারে থাকা বা না-থাকার ব্যাপারটা তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীদের ওপরেই ছেড়ে দিয়েছিলেন। ডিনার বয়কট করার কোনো নির্দেশ হাইকমান্ড দেয়নি।