‘মোদী পদবি’ মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়া কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর জন্য আরেক বড়ো ধাক্কা। সাজা স্থগিতের আবেদনে সাড়া দিল না সুরতের দায়রা আদালত। পিটিশনে ‘মোদী পদবি’ নিয়ে করা মন্তব্যে ফৌজদারি মানহানির মামলায় নিজের সাজা স্থগিত করার দাবি জানিয়েছিলেন রাহুল, যা আদালত প্রত্যাখ্যান করল বৃহস্পতিবার।
সুরতের দায়রা আদালতের বিচারক রবিন মোঘেরা এ দিন রাহুল গান্ধীর দুই বছরের সাজা স্থগিত করার আবেদনের উপর রায় ঘোষণা করেন। মামলায় রাহুলের সাজা পরিবর্তন করা হয়নি এবং আবেদনটি খারিজ করা হয়েছে। এখন রাহুল গান্ধীর আইনজীবীরা হাইকোর্টে আবেদন জানাতে যাচ্ছেন।
বলে রাখা ভালো, মোদী পদবি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করায় রাহুল গান্ধীকে ২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল সুরতের দায়রা আদালত। চলমান মানহানির মামলায় আদালত তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে গত ২৩ মার্চ রাহুলকে ‘অপরাধমূলক মানহানির’ মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিশানায় রেখে রাহুল গান্ধী স্লোগান তুলেছিলেন, ‘চৌকিদার চোর হ্যায়’। কর্নাটকে প্রচারে গিয়ে রাহুল প্রশ্ন তুলেছিলেন, ‘‘সব চোরেদের পদবি ‘মোদী’ হয় কেন?’’ আইপিএল কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত ললিত মোদী, ব্যাঙ্ক-ঋণ মামলায় ‘পলাতক’ নীরব মোদীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর তুলনা টেনেছিলেন তিনি।
ওই ঘটনায় রাহুলের বিরুদ্ধে ‘পদবি অবমাননার’ অভিযোগে মানহানির মামলা করেছিলেন গুজরাতে বিজেপি নেতা পূর্ণেশ মোদী। মামলাকারীর অভিযোগ ছিল, গোটা মোদী সম্প্রদায়কে অপমান করেছেন রাহুল। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৯ এবং ৫০০ ধারায় রাহুলের বিরুদ্ধে মামলা হয়। সেই মামলাতেই দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন রাহুল। তবে সাজা শোনানোর পরই জামিন মিলে যাওয়ায় সে সময় জেলে যাওয়া থেকে রেহাই পান রাহুল!
আদালতের সাজা ঘোষণার পর গত ২৪ মার্চ লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা ভারতীয় সংবিধানের ১০২(১)-ই অনুচ্ছেদ এবং জনপ্রতিনিধিত্ব আইন (১৯৫১)-র ৮(৩) নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ করে দেন। এ দিন তাঁর সাজার উপর স্থগিতাদেশ দেওয়ার আবেদন খারিজ হওয়ায় আপাতত কেরলের ওয়েনাড়ের সাংসদ পদ ফিরে পাচ্ছেন না রাহুল।
আরও পড়ুন: শুক্রবার থেকে ভোলবদল আবহাওয়ার, সপ্তাহান্তে বৃষ্টি দক্ষিণবঙ্গের ৮ জেলায়