কেন্দ্র যতই বেকারত্ব কমে যাওয়ার দাবি করুক, পরিসংখ্যান কিন্তু অন্য কথা বলছে। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা এবং ইনস্টিটিউট ফর হিউম্যান ডেভেলমেন্টের যৌথ রিপোর্টে দাবি করে হয়েছে দেশে, শিক্ষিত বেকার যুবক-যবতীর সংখ্যা ক্রমশ বেড়ে চলছে।
এই শতাব্দীর গোড়ার দিকে শিক্ষিত যুবদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৬৫.৭ শতাংশ। বর্তমানে দেশে শিক্ষিত বেকার যুবকের সংখ্যা ৭৬.৭ শতাংশ এবং ৬২.২ শতাংশ যুবতী।
এই রিপোর্ট একটি উদ্বেগজনক প্রবণতাকে তুলে ধরেছে। যেখানে বলা হয়েছে, বেকার যুবকদের মধ্যে কমপক্ষে মাধ্যমিক শিক্ষা অর্জনকারী শিক্ষিত যুবদের অনুপাত ২০০০ সালে ছিল ৩৫.২ শতাংশ। ২০২২ সালে তা প্রায় দ্বিগুন হয়ে দাঁড়িয়েছে ৬৫.৭ শতাংশে।
মাধ্যমিক শিক্ষার পরে ড্রপআউটের হার বেশি ছিল, বিশেষ করে তুলনামূলক ভাবে নিম্ন আয়ের রাজ্যগুলিতে এবং প্রান্তিক গোষ্ঠীগুলির মধ্যে। রির্পোট অনুযায়ী, উচ্চশিক্ষায় ভর্তির সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়া সত্ত্বেও, বিদ্যালয় ও উচ্চশিক্ষার স্তরে শিক্ষায় উল্লেখযোগ্য ঘাটতি লক্ষ্য করা গেছে । মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ভি অনন্ত নাগেশ্বরন ২৬ মার্চ এটি প্রকাশ করেন ।
সমীক্ষা অনুসারে , ২০০০ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পেয়ে থাকলেও কোভিড মহামারীর বছরগুলিতে তা হ্রাস পেয়েছে । শিক্ষিত যুবক – যুবতীরা অবশ্য এই সময়কালে উল্লেখযোগ্যভাবে উচ্চ মাত্রার বেকারত্বের সম্মুখীন হয়েছিল।
প্রতিবেদেকরা সতর্ক করে দিয়ে জানিয়েছেন, বিষয়টি উপর নজর দেওয়া প্রয়োজন এবং যে কারণে এই পরিবর্তন সেই প্রশ্নগুলির মুখোমুখি হওয়া প্রয়োজন।
উল্লেখযোগ্য ভাবে এই সময়কালে মজুরি স্থবির বা হ্রাস পেয়েছে। ২০১৯ সালের পর থেকে শ্রমিক এবং স্বনিযুক্তি ব্যক্তিদের প্রকৃত আয়ে নেতিবাচক প্রবণতা লক্ষ্য করা গিয়েছে। ২০২২ সালে থেকে অদক্ষ শ্রমিকদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ বাধ্যতামূলক ন্যূনতম মজুরি পায়নি ।
রাজ্যগুলিতে কর্মসংস্থানের ফলাফলে উল্লেখযোগ্য বৈচিত্র্য লক্ষ্য করা গিয়েছে। কিছু রাজ্য কর্মসংস্থান সূচকগুলিতে ধারাবাহিকভাবে নিম্ন অবস্থানে রয়েছে । বিহার , উত্তরপ্রদেশ , ওড়িশা , মধ্যপ্রদেশ , ঝাড়খণ্ড এবং ছত্তিশগড়ের মতো রাজ্যগুলি আঞ্চলিক নীতির প্রভাবে বছরের পর বছর ধরে দূর্বল কর্মসংস্থান প্রত্যক্ষ করছে।