নিজের সন্তানকে মারধর করতে পারে না কোনও মা—এই মন্তব্য করে মঙ্গলবার এক ২৮ বছর বয়সি মহিলাকে জামিন দিয়েছে বম্বে হাইকোর্ট। জানা যায়, সঙ্গীর সঙ্গে মিলিতভাবে নিজের সাত বছরের ছেলেকে নির্যাতন ও হত্যার চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন ওই মহিলা।
বিচারপতি মিলিন্দ যাদবের একক বেঞ্চের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, শিশুটির বাবা-মায়ের মধ্যে দাম্পত্য বিরোধের ফলে সে দুর্ভোগের শিকার হয়েছে এবং এই ঘটনার বলি হয়েছে।
আদালত জানায়, মেডিক্যাল রিপোর্টে দেখা গেছে শিশুটি মৃগি ও খিঁচুনির সমস্যায় ভুগছে, অপুষ্টির শিকার এবং রক্তাল্পতাও রয়েছে তার।
এছাড়াও, বিভিন্ন চিকিৎসা সংক্রান্ত নথি প্রমাণ করছে যে, অভিযুক্ত মা সন্তানের যত্ন ও চিকিৎসার জন্য যথেষ্ট চেষ্টা করেছেন।
মহিলাকে অক্টোবর ২০২৩ সালে গ্রেফতার করা হয়েছিল এবং তখন থেকেই তিনি জেলে ছিলেন।
শিশুটির জৈবিক পিতা অভিযোগ করেন, নিজের সঙ্গীর সঙ্গে মিলে শিশুটিকে একাধিকবার মারধর করেছেন তাঁর আলাদা থাকা স্ত্রী। এমনকী একবার হত্যা করারও চেষ্টা করেছেন। মুম্বাইয়ের দহিসর থানায় দায়ের করা এফআইআরে আরও দাবি করা হয়, অভিযুক্ত মহিলার সঙ্গী শিশুটির উপর যৌন নির্যাতনও চালিয়েছেন।
তবে হাইকোর্ট এই অভিযোগকে “প্রাথমিকভাবে অবিশ্বাস্য” বলে উল্লেখ করে বলেছে, “কোনও মা নিজের সন্তানকে মারতে পারে না।” পুলিশ গ্রেফতারের কারণ জানানো সংক্রান্ত ফৌজদারি কার্যবিধির বাধ্যতামূলক বিধান অনুসরণ করেনি।
এই পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে আদালত ১৫,০০০ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে অভিযুক্ত মহিলাকে জামিন মঞ্জুর করে।
অভিযোগপত্র অনুযায়ী, শিশুটি ২০১৯ সালে মা-বাবার বিচ্ছেদের পর মহারাষ্ট্রের রত্নাগিরিতে বাবার কাছে থাকত। কিন্তু ২০২৩ সালে মা জোর করে তাকে মুম্বাইয়ে নিয়ে আসেন। এখন মামলাটি তদন্তাধীন।