Home খবর দেশ নিঠারি নৃশংস হত্যাকাণ্ডে ২ মূল অভিযুক্তের ফাঁসির সাজা রদ এলাহাবাদ হাইকোর্টে, সত্যঘটনা...

নিঠারি নৃশংস হত্যাকাণ্ডে ২ মূল অভিযুক্তের ফাঁসির সাজা রদ এলাহাবাদ হাইকোর্টে, সত্যঘটনা কি প্রকাশ্য আসবে?

0

২০০৬ সালে সারা দেশ তোলপাড় হয়েছিল নয়ডার নিঠারি হত্যাকাণ্ডে। সেই মামলার দুই মূল অভিযুক্ত সুরেন্দ্র কোহলি এবং মণীন্দ্র সিংহ পান্ধের ফাঁসির সাজা রদ করল এলাহাবাদ হাইকোর্ট।

নয়ডার নিঠারি মামলায় গাজিয়াবাদের সুরেন্দ্র কোহলি এবং মনীন্দ্র সিং পান্ধের মৃত্যুদণ্ডের সাজা শুনিয়েছিল সিবিআই আদালত। সেই সাজার বিরুদ্ধে এলাহাবাদ হাইকোর্ট যায় মূল অভিযুক্তরা। সূত্রের খবর, সন্দেহাতীত ভাবে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের ‘বেকসুর’ ঘোষণা করে খালাস করে দেওয়া হল। সুরেন্দ্রকে ১২টি মামলায় এবং মণীন্দ্রকে দু’টি মামলায় ‘বেকসুর’ ঘোষণা করেছে উচ্চ আদালত।

কয়েক ডজন মেয়েকে নৃশংসভাবে হত্যা ও ধর্ষণের দায়ে এক ডজনেরও বেশি মামলায় কোহলির মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। অন্য দিকে, তিনটি মামলায় পান্ধেরকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। মামলা হাইকোর্টে গড়ালে বিচারপতি অশ্বনীকুমার মিশ্র এবং বিচারপতি এসএ রিজভির ডিভিশন বেঞ্চ দীর্ঘ শুনানি করে। সোমবার এই মামলার রায় ঘোষণা করে ডিভিশন বেঞ্চ।

উল্লেখ্য, ২০০৫-২০০৬ সাল নাগাদ নিঠারিতে একের পর যুবতী, কিশোর-কিশোরী নিখোঁজ হতে শুরু করে। ডি-৫ বাড়ির আশপাশ থেকে অনেকেই নিখোঁজ হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা নিখোঁজ অভিযোগ দাখিল করলেও পুলিশের উদাসীনতার কারণে মামলার সুরাহা হচ্ছিল না। এর পরে সাধারণ মানুষ বিক্ষোভ দেখালে পুলিশ পদক্ষেপ নেয়।

এই ঘটনার তদন্তে নেমে ২০০৬ সালের ২৯ ডিসেম্বর নিঠারির ব্যবসায়ী পান্ধেরের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ১৯টি কঙ্কাল এবং কিছু দেহাবশেষ। বাড়ির পাশের নর্দমা থেকে মানবদেহের অংশ ভর্তি ৪০টি প্যাকেট উদ্ধার হয়। এর পরই সুরেন্দ্র এবং মনীন্দ্রকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে তদন্তে উঠে আসে, শিশু, কিশোর-কিশোরীদের উপর যৌন অত্যাচার চালিয়ে খুন করে তাদের দেহের অংশ প্রেসার কুকারে সেদ্ধ করে খেয়ে ফেলতেন পান্ধের এবং তাঁর বা়ড়ির পরিচারক সুরেন্দ্র।

ঘটনায় প্রকাশ, মনীন্দ্র শিশুদের শিকার করতে। এরপর সুরেন্দ্র তাদের মেরে রান্না করে খেয়ে ফেলত। অপহৃত মেয়েরাও ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে জানা যায়। এর পর তাদের খুন করে শরীরের বিভিন্ন অংশ প্যাকেটে ভরে নর্দমায় ফেলে দেওয়া হতো। এমনটাও শোনা যায়, মানব দেহাংশ পাচারের সঙ্গে জড়িত ছিল অভিযুক্তরা। এমন জল্পনার মধ্যে এই ঘটনার তদন্তভার নেয় সিবিআই। গাজিয়াবাদের সিবিআই আদালতে চলে শুনানি। সেখানেই তাদের মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: গাজা দখলের ভাবনা ‘বড়ো ভুল’, ইজরায়েল সফরের জল্পনার মধ্যেই সতর্কতা মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Exit mobile version