নয়াদিল্লি: ফের এক বার ভারতে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে কোভিড -১৯ সংক্রমণ। দীর্ঘদিন পরে দেশে দৈনিক কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা চার হাজারের গণ্ডি পার করল। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, এখনই আতঙ্কিত হওয়ার মতো কোনো কারণই নেই।
করোনা পরিসংখ্যান
বুধবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের প্রকাশিত তথ্য অনুয়ায়ী, শেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা ৪ হাজার ৪৩৫। সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বেড়েছে ১ হাজার ৮৩০। এক ধাক্কায় অনেকটাই বাড়ল সক্রিয় কোভিডরোগী। এখন সারা দেশের মোট সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ২৩ হাজার ৯১। যেখানে মঙ্গলবার এই সংখ্যাটি ছিল ২১ হাজার ১৭৯।
মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর মোট ৪ হাজার ৭৭৭ জন করোনা সংক্রমিত হয়েছিলেন। এখন পর্যন্ত সারা দেশে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা ঠেকেছে ৪ কোটি ৪৭ লক্ষ ৩৩ হাজার ৭১৯। এ দিন সকাল ৮টায় আপডেট করা তথ্য অনুযায়ী, আরও ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত মোট মৃত ৫ লক্ষ ৩০ হাজার ৯১৬।
জোর টিকাকরণে
দেশে এখন পর্যন্ত ২২০ কোটি ৬৫ লক্ষের বেশি ডোজ করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১০২ কোটি ৭৪ লক্ষের বেশি মানুষ প্রথম ডোজ পেয়েছেন। ৯৫ কোটি ১৯ লক্ষের বেশি প্রথম এবং দ্বিতীয় উভয় ডোজই পেয়েছেন। এর পাশাপাশি প্রায় ২৭ কোটি ৭২ লক্ষ মানুষকে সতর্কতামূলক (বুস্টার) ডোজ দেওয়া হয়েছে।
বিমানে মাস্ক পরার পরামর্শ
পরিস্থিতি মোকাবিলায়বিমান যাত্রীদের মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। অসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল ভিকে সিং রাজ্যসভায় বলেন, বিমান ভ্রমণের জন্য মাস্ক বাধ্যতামূলক করার কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই, তবে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের জারি করা ‘আন্তর্জাতিক আগমনের জন্য নির্দেশিকা’ (Guidelines for International Arrivals) কার্যকর রয়েছে। ওই নির্দেশিকাটি গত ১০ ফেব্রুয়ারি আপডেট করা হয়েছিল। তখনই সেখানে বিমান যাত্রীদের উদ্দেশে মাস্ক ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন: কুড়মি বিক্ষোভের জেরে বাতিল একাধিক ট্রেন, চূড়ান্ত দুর্ভোগে যাত্রীরা