ছত্তীসগঢ়ের সাংবাদিক মুকেশ চন্দ্রকরের হত্যাকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত সুরেশ চন্দ্রকরকে রবিবার রাতে হায়দরাবাদ থেকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সুরেশ চন্দ্রকর, যিনি পেশায় ঠিকাদার এবং মুকেশের দূর সম্পর্কের আত্মীয়, এই হত্যাকাণ্ডের মূল ষড়যন্ত্রকারী বলে দাবি পুলিশের। ঘটনার পর থেকে সুরেশ পলাতক ছিলেন।
পুলিশ জানিয়েছে, সুরেশ চন্দ্রকর হায়দরাবাদে তাঁর চালকের বাড়িতে লুকিয়ে ছিলেন। তাঁকে ধরতে পুলিশ ২০০টি সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে এবং প্রায় ৩০০টি মোবাইল নম্বরের অবস্থান চিহ্নিত করে।
এর আগে, চন্দ্রকরের আরও তিন আত্মীয়-সহ মোট তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মুকেশের ভাইপো ঋতেশ চন্দ্রকরকে রায়পুর বিমানবন্দর থেকে এবং তদারককারী মহেন্দ্র রামটেকে ও অপর আত্মীয় দিনেশ চন্দ্রকরকে বিজাপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশের প্রাথমিক তদন্ত অনুযায়ী, ১ জানুয়ারি রাতে ডিনারের সময় তর্কাতর্কির একপর্যায়ে ঋতেশ এবং মহেন্দ্র লোহার রড দিয়ে মুকেশকে আক্রমণ করেন, যার ফলে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। পরে, তাঁদের সঙ্গে অন্য এক অভিযুক্ত দিনেশ চন্দ্রকর সেপটিক ট্যাঙ্কে দেহ লুকিয়ে তা সিমেন্ট দিয়ে বন্ধ করে দেন। ফোন এবং হত্যার সময় ব্যবহৃত রডও তারা অন্যত্র ফেলে দেয়।
মুকেশের মৃত্যুর ঘটনায় সাংবাদিক মহলে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। প্রেস অ্যাসোসিয়েশন এবং এডিটরস গিল্ড অফ ইন্ডিয়া ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। এডিটরস গিল্ড এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। বিশেষত, ছোট শহর এবং গ্রামীণ এলাকায় কাজ করা সাংবাদিকরা প্রায়ই হুমকির সম্মুখীন হন। মুকেশ চন্দ্রকরের মৃত্যু তদন্তে কোনও ফাঁক রাখা যাবে না এবং দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে।”
ছত্তীসগঢ়ের উপ-মুখ্যমন্ত্রী বিজয় শর্মা মুকেশ চন্দ্রকরের হত্যাকাণ্ডকে ‘মর্মান্তিক এবং নিন্দনীয়’ বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।