নয়াদিল্লি: দেশে বিভেদের বীজ বপন এবং বিভাজন তৈরির চেষ্টার বিরুদ্ধে সতর্ক করে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শনিবার তিনি জোরের সঙ্গে বলেন, ভারতের মাটিতে এই ধরনের প্রচেষ্টা কোনো দিনই সফল হবে না।
এ দিন ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর-এর (NCC)-এর সমাবেশে বক্তৃতা করেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ভারতের জন্য ঐক্যের মন্ত্রই মহত্ত্ব অর্জনের একমাত্র উপায়। দেশের তরুণদের জন্যই সারা বিশ্ব ভারতের দিকে তাকিয়ে আছে। অন্য দিকে, ডিজিটাল, স্টার্ট-আপ এবং উদ্ভাবনী বিপ্লবের সূচনা করে দেশের তরুণদের জন্য সমস্ত রকমের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে তাঁর সরকার।
সাধারণতন্ত্র দিবস উদযাপনে অংশ নেওয়া এনসিসি ক্যাডেটদের উদ্দেশে তাঁর স্পষ্ট বার্তা, “ভারতের যুব সমাজের জন্য এখন নতুন সুযোগ এসেছে। যাবতীয় দিক থেকে স্পষ্ট যে এখন ভারতের ‘সময়’ এসেছে”।
পাশাপাশি বিভাজন সৃষ্টির অপকৌশল নিয়েও কড়া বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী। যদিও নিজের বক্তৃতার কোনো অংশেই বিবিসি (BBC)-র তৈরি ‘দ্য মোদী কোয়েশ্চেন’ ডকুমেন্টারির নাম নেননি। তবে এই তথ্যচিত্র নিয়ে যে বিতর্কের ঝড় বয়ে চলেছে, সেই আবহেই তিনি বলেন, “দেশ বিভাজন করার জন্য একের পর এক অজুহাত খোঁজা হচ্ছে। ভারতমাতার সন্তানদের মধ্যে ভাগাভাগি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু, মায়ের দুধের ভাগ করা যায় না”। একই সঙ্গে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে তিনি বলেন, “এমন চেষ্টা সত্ত্বেও, ভারতের জনগণের মধ্যে কখনও বিভেদ সৃষ্টি করা যাবে না”।
প্রসঙ্গত, ‘দ্য মোদী কোয়েশ্চেন’ নিয়ে শুরু থেকেই আপত্তি জানিয়ে আসছিল কেন্দ্রীয় সরকার। দু’দশক আগে গুজরাতের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জমানায় গোধরা-কাণ্ড এবং তার পরবর্তী সাম্প্রদায়িক হিংসার কথা তুলে ধরা হয়েছে এক ঘণ্টার ওই তথ্যচিত্রে। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে বিবিসি-র ওই তথ্যচিত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। একদিকে যেখানে জেএনইউ-তে এই ডকুমেন্টারি দেখানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে, সেখানে হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হওয়ার পর দায়ের হয়েছে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: সামান্য নামল তাপমাত্রার পারদ, শীতের আমেজ কলকাতায়