সোমবার প্রশিক্ষণরত প্রাক্তন আইএএস পূজা খেড়করের আগাম জামিন আবেদন খারিজ করে দিল দিল্লি হাইকোর্ট। পাশাপাশি, তাঁকে দেওয়া অন্তর্বর্তীকালীন সুরক্ষাও বাতিল করা হয়েছে। হাইকোর্টের বিচারপতি চন্দ্রধারী সিংয়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ ইউপিএসসি পরীক্ষাকে একটি মর্যাদাপূর্ণ পরীক্ষা হিসেবে উল্লেখ করে জানায়, এই ঘটনা শুধু সংস্থার বিরুদ্ধে নয়, বরং পুরো সমাজের বিরুদ্ধে একটি প্রতারণার উদাহরণ।
আদালতের পর্যবেক্ষণে জানানো হয়, ষড়যন্ত্রের প্রকৃতি বোঝার জন্য অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন। মামলাটি প্রাথমিক ভাবে প্রতারণামূলক বলে মনে হচ্ছে। অভিযুক্তের এ ধরনের কার্যকলাপ সংস্থাকে বিভ্রান্ত করার উদ্দেশ্যে বলেই মনে হয়।
পূজা খেড়করের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি জাল নথি ব্যবহার করে ওবিসি এবং প্রতিবন্ধী কোটার সুবিধা নিয়েছেন। তিনি সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় বাড়তি সুযোগ পাওয়ার জন্য ভুয়ো পরিচয় ব্যবহার করেছেন। দিল্লি পুলিশের দাবি, মামলাটি তদন্তাধীন এবং ষড়যন্ত্রের বৃহত্তর দিক উন্মোচনের জন্য পূজাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন।
আদালত জানিয়েছে, খেড়করের বাবা-মা উচ্চপদস্থ ব্যক্তি। যে কারণে এই প্রতারণায় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের যোগসাজশের সম্ভাবনাও থেকে যায়।
ইউপিএসসি অভিযোগ করেছে যে পূজা খেড়কর আদালতে মিথ্যা হলফনামা জমা দিয়ে বিচার ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছেন। ইউপিএসসি জানিয়েছে, খেড়কর দাবি করেছেন যে কমিশন না কি তাঁর বায়োমেট্রিক্স সংগ্রহ করেছিল। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। ইউপিএসসি কখনও বায়োমেট্রিক্স সংগ্রহ করেনি। এছাড়া, তাঁর প্রার্থীপদ বাতিলের নোটিশ তাঁর রেজিস্টার্ড ইমেইল আইডিতে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু খেড়কর আদালতে মিথ্যা দাবি করেছেন যে এটা তাঁকে জানানো হয়নি।
সম্প্রতি, ইউপিএসসি-র অভিযোগের ভিত্তিতে দিল্লি পুলিশ পূজা খেড়করের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর দায়ের করেছে। ইউপিএসসি-এর অভিযোগের প্রেক্ষিতে খেড়করকে নোটিশও জারি করেছে আদালত।
আরও পড়ুন: উত্তরপ্রদেশে আবার এনকাউন্টার! পিলভিটে নিহত ৩ খলিস্তানি জঙ্গি, উদ্ধার অত্যাধুনিক অস্ত্র
