Homeখবরদেশ৪৬ বছর পর খোলা হল পুরীর মন্দিরের রত্ন ভান্ডার, সাপ কি মিলল?

৪৬ বছর পর খোলা হল পুরীর মন্দিরের রত্ন ভান্ডার, সাপ কি মিলল?

প্রকাশিত

পুরীর মন্দিরের রত্ন ভান্ডারের মধ্যে কোনও সাপ মেলেনি। মন্দিরের রত্ন ভান্ডার খোলার আগে স্নেক হেল্পলাইনে দুটি দলকে প্রস্তুত রাখা হয়েছিল। ওড়িশার একটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, কোষাগারের বাইরে দল দুটি হাজির ছিল। কিন্তু তাদের ডাক পড়েনি।
স্নেক হেল্পলাইনের প্রধান শুভেন্দু মল্লিক মন্দির থেকে বেরিয়ে আসার পর বলেন,”রত্ন ভান্ডার খোলার প্রক্রিয়ায় আমাদের থাকতে বলা হয়েছিল। কিন্তু আমাদের ভিতরের চেম্বারে ডাকা হয়নি।” তিনি জানান সাপ আছে আশঙ্কা করে মন্দিরের রত্ন ভান্ডার খোলার সময় তাঁদের হাজির থাকতে বলা হয়েছিল। সেই মতো তাঁদের দুটি দল হাজির ছিল কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের আর ডাকা হয়নি। তিনি আরও বলেন, “আগামী দিনে যদি আবারও তাদের ডাকা হয় তবে তারা সাহায্যের জন্য প্রস্তত।”
রত্ন ভান্ডার মনিটারিং কমিটির এক সদস্য ড. সিবিকে মোহান্তি বলেন, “আমি মন্দিরের মধ্যে কোনও সাপ দেখতে পাইনি। আমরা শুধু কন্টেনারগুলি পরিদর্শন করেছি। আমরা রত্ন ভান্ডারের ভিতরের চেম্বারে কোনও অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হইনি।”
প্রসঙ্গত, ‘রহস্যময়’ এই রত্ন ভান্ডারটি খোলা হল প্রায় ৪৬ বছর পর। ভান্ডারের দরজা শেষবার খোলা হয়েছিল ১৯৭৮ সালে। রবিবা দুপুর ১টা বেজে ২৮ মিনিটে, ‘পবিত্র মুহূর্তে’ খোলা হয় পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রত্নভান্ডারের দরজা। ভারতের পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ বিভাগের পরামর্শে রত্নভান্ডারটির সংরক্ষণের কাজের জন্য একে খোলা হয়েছে।
জগন্নাথ মন্দিরের এই রত্ন ভান্ডার নিয়ে নানা রকম কাহিনি চালু আছে। বলা হয়, ভান্ডারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে জগন্নাথ মন্দিরের বিপুল রত্নসামগ্রীর পাহারায় থাকে সাপেরা! যদিও সেই সব দাবির প্রমাণ পাওয়া যায়নি। রবিবার রত্নভান্ডারটির দরজা খুলে তার ভিতরে প্রবেশ করেন ১১ সদস্যের একটি দল। এই দলে রয়েছেন রত্নভান্ডার নিয়ে গঠিত বিশেষ কমিটির সভাপতি বিচারপতি বিশ্বনাথ রথ এবং কমিটির সদস্য তথা জগন্নাথ মন্দির প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষের মুখ্য প্রশাসক অরবিন্দ পাধি, পুরীর মহারাজা গজপতির একজন প্রতিনিধি এবং কমিটির বিশিষ্ট সদস্য সিবিকে মোহান্তি।
রত্নভান্ডারের যাবতীয় সম্পদ সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে একটি বিশেষ ‘ভল্টে’। তার জন্য রবিবার রত্ন ভান্ডারের দরজা খোলার আগেই সেখানে পৌঁছে যায় ৬টি বড় সিন্দুক। প্রশাসন সূত্রের খবর, প্রথমে রত্ন ভান্ডারের থাকা ধনরাশির অডিট করা হবে। তার পরে তা পাঠানো হবে সুরক্ষিত ভল্টে। কী ভাবে সম্পূর্ণ কাজটি সম্পন্ন হবে তারজন্য ‘স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর’ তৈরি করে দেওয়া। তা মেনেই রত্ন ভান্ডার সংরক্ষণের যাবতীয় কাজ করা হবে।

আপনার প্রশ্ন, আমাদের উত্তর

সাম্প্রতিকতম

গুয়াহাটিতে ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা দ্বিতীয় টেস্টে মধ্যাহ্নভোজের আগেই চা-পানের বিরতি! কেন এই সিদ্ধান্ত? 

খবর অনলাইন ডেস্ক: টস, মধ্যাহ্নভোজের বিরতি, চা-পানের বিরতি, তার পর সে দিনের খেলা শেষ...

বিশ্বকাপ মহিলা ক্রিকেট: ২০১৭ এর পুনরাবৃত্তি, জেমিমা-হরমনপ্রীতের ব্যাটের জোরে অস্ট্রেলিয়াকে গুঁড়িয়ে ফাইনালে ভারত

অস্ট্রেলিয়া: ৩৩৮ (৪৯.৫ ওভার) (ফোবে লিচফিল্ড ১১৯, এলিসে পেরি ৭৭, অ্যাশলে গার্ডনার ৬৩, শ্রী...

সুরের সীমানা নেই: জুবিন গার্গকে শ্রদ্ধা জানাতে সোনাপুরে বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধি দল

প্রয়াত গায়ক জুবিন গার্গের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সোনাপুরে তাঁর দাহস্থলে এলেন বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধি দল। উপ-উচ্চ কমিশনার প্রীতি রহমানের নেতৃত্বে দলটি ফুল অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান। সঙ্গীতের সীমানা যে রাজনীতির ঊর্ধ্বে, তা আবারও প্রমাণিত হল।

শুক্রবার প্রকাশ উচ্চ মাধ্যমিক তৃতীয় সেমিস্টারের ফল, দুপুর ২টো থেকে অনলাইনে দেখা যাবে ফলাফল

৩১ অক্টোবর প্রকাশিত হচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিক তৃতীয় সেমিস্টারের ফলাফল। দুপুর সাড়ে ১২টায় আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করবে সংসদ। দুপুর ২টা থেকে অনলাইনে রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে দেখা যাবে ফল।

আরও পড়ুন

সুরের সীমানা নেই: জুবিন গার্গকে শ্রদ্ধা জানাতে সোনাপুরে বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধি দল

প্রয়াত গায়ক জুবিন গার্গের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সোনাপুরে তাঁর দাহস্থলে এলেন বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধি দল। উপ-উচ্চ কমিশনার প্রীতি রহমানের নেতৃত্বে দলটি ফুল অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান। সঙ্গীতের সীমানা যে রাজনীতির ঊর্ধ্বে, তা আবারও প্রমাণিত হল।

মুম্বইয়ের স্টুডিয়োয় ২০ শিশুকে পণবন্দি করে খুনের হুমকি দেওয়া রোহিত আর্যকে? পুলিশের গুলিতে নিহত অপহরণকারী

মুম্বইয়ের পাওয়াই এলাকায় স্টুডিওতে ২০ জন শিশুকে জিম্মি করেন এক ব্যক্তি, রোহিত আর্য। এক ঘণ্টা টানা উদ্ধার অভিযানের পর তাঁকে গ্রেফতার করা হলেও পরে মৃত্যু হয় তাঁর। সমস্ত শিশু নিরাপদে পরিবারের কাছে ফেরানো হয়েছে।

ঋণগ্রস্ত বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থাগুলির জন্য ১ লক্ষ কোটির ‘বেলআউট’ প্যাকেজ আনছে কেন্দ্র; শর্ত বেসরকারিকরণ

ঋণে জর্জরিত রাজ্য বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থাগুলির জন্য ১ ট্রিলিয়ন রুপিরও বেশি উদ্ধারপ্যাকেজ ঘোষণা করতে চলেছে কেন্দ্র। শর্ত—রাজ্যগুলিকে তাদের বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা বেসরকারি হাতে তুলে দিতে হবে বা শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত করতে হবে।