সংসদে ‘চক্রব্যূহ’ মন্তব্য করে কেন্দ্রীয় সরকারকে অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছেন রাহুল গান্ধী। লোকসভায় বিরোধী দলনেতা শুক্রবার দাবি করলেন, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)- র “ভিতরের লোক” মারফত তিনি জানতে পেরেছেন, এ বারের বাজেট নিয়ে আলোচনার সময় “চক্রব্যূহ” বক্তৃতার পরে তাঁর বিরুদ্ধে একটি অভিযানের ছক কষা হচ্ছে। তবে, কংগ্রেস নেতা একই সঙ্গে জানিয়ে দিয়েছেন, এতে তিনি মোটেই আশঙ্কিত নন, কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাকে চা-বিস্কুট প্রস্তুত রাখার জন্য কটাক্ষও ছুড়ে দিয়েছেন।
নিজের এক্স (আগের টুইটার) হ্যান্ডলে রাহুল লেখেন, “আপাতদৃষ্টিতে, দুজনের মধ্যে একজন আমার চক্রব্যূহ বক্তৃতা পছন্দ করেননি। ইডি- র ‘ভিতরের লোক’ আমাকে বলেছে একটি অভিযানের পরিকল্পনা করা হচ্ছে।” প্রাক্তন কংগ্রেস প্রধান আরও লেখেন, “খোলা হাতিয়ার নিয়ে অপেক্ষা করছি…সঙ্গে চা এবং বিস্কুট।”
বাজেট অধিবেশনে বক্তৃতা করার সময় রাহুল বলেছিলেন, “একটা ‘চক্রব্যূহ’-এর মাধ্যমে ভয়কে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এই ‘চক্রব্যূহে’ সবাই জড়িয়ে পড়েছে ৷ এমনকী বিজেপির সাংসদ থেকে শুরু করে কর্মী এবং কৃষকরাও। হাজার হাজার বছর আগে হরিয়ানার কুরুক্ষেত্রে ছ’জন ব্যক্তি এক যুবককে হত্যা করেছিলেন। সেই যুবক অভিমন্যুকে ‘চক্রব্যূহে’ ফাঁসানো হয়েছিল। সেই ‘চক্রব্যূহ’ ছিল হিংসা এবং ভয়ের। সেখানে অভিমন্যু বাঁধা পড়েছিলেন এবং তাঁকে হত্যা করা হয়েছিল। তিনি দ্রোণাচার্য, কর্ণ, কৃপাচার্য, কৃতবর্মা, অশ্বত্থামা এবং শকুনি দ্বারা পরিবেষ্টিত হয়ে নিহত হন।”
তিনি আরও বলেন, “আমি যখন এর বিষয়ে গবেষণা করি, তখন দেখতে পাই ‘চক্রব্যূহ’-এর আরেক নাম পদ্মব্যূহ। সামরিক গঠনের জন্য এটি পদ্মফুলের মতো আকারে হয়। আজও ‘চক্রব্যূহ’-এ ছয়জন আছেন। সেন্টারে ছয় জন লোক কন্ট্রোল করেন। নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ, মোহন ভাগবত, অজিত ডোভাল, অম্বানি এবং আদানি।”