Homeখবরদেশসমলিঙ্গ বিবাহ: সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা কেন্দ্রের, রাজ্যগুলিকে পক্ষ করার দাবি

সমলিঙ্গ বিবাহ: সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা কেন্দ্রের, রাজ্যগুলিকে পক্ষ করার দাবি

প্রকাশিত

নয়াদিল্লি: সমলিঙ্গ বিবাহকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি নিয়ে বুধবারও শুনানি সুপ্রিম কোর্টে। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে এ দিনের শুনানির সময় কেন্দ্রীয় সরকার একটি নতুন হলফনামা দাখিল করেছে। এই মামলায় রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকেও পক্ষ করতে বলেছে কেন্দ্র।

সমলিঙ্গ বিবাহ নিয়ে ইতিমধ্যেই নিজেদের আপত্তির কথা সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। সমলিঙ্গ বিবাহকে স্বীকৃতি দিলে দেশের প্রতিটি নাগরিকের স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলেও আদালতে যুক্তি দিয়েছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার। বুধবার এ ব্যাপারে দেশের রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিরও মতামত জানতে চাইল সরকার।

এর আগে, মঙ্গলবার শুনানি নিয়ে আপত্তি তোলে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় সরকার বলেছে, আগে ঠিক করা উচিত কোন ফোরামে এই ইস্যু নিয়ে বিতর্ক করা যাবে। জানতে চাওয়া হয়, আদালত বিচার বিভাগীয় সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বৈবাহিক সম্পর্কের সামাজিক ও আইনি বৈধতা নির্ধারণ করতে পারে কি না। কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, এই বিষয়টি আইনসভার আওতাভুক্ত। এমতাবস্থায় আদালতকে প্রথমে শুনানির বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে উত্থাপিত আপত্তি বিবেচনা করতে হবে, মামলার যোগ্যতা অনুযায়ী পরে শুনানি করতে হবে। আদালতের কী করা উচিত তা আদালতই ঠিক করবে।

সুপ্রিম কোর্টকে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, ১৮ এপ্রিল (মঙ্গলবার) রাজ্যগুলির কাছ থেকে এ বিষয়ে মন্তব্য চেয়ে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের কথাও শোনা উচিত। তবে আবেদনকারীর পক্ষে উপস্থিত অ্যাডভোকেট মুকুল রোহাতগি তীব্র আপত্তি জানিয়ে বলেন, কেন্দ্রীয় আইনকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। রাজ্যগুলিকে নোটিশ পাঠানোর প্রয়োজন নেই।

এ দিনের শুনানিতে তিনি বলেন, “সমাজ আইন মেনে নেয়… আমি বিধবা পুনর্বিবাহ আইনের উদাহরণ দিয়েছি এবং আইনটি তৎপরতার সঙ্গে কাজ করেছে। এখানেও আমাদের সমাজকে চাপ দিতে হবে যেন আমাদেরকে সকল ক্ষেত্রে সমান হিসাবে স্বীকার করে। কারণ সংবিধান এটাই বলে। আদালতেরও নৈতিক কর্তৃত্ব আছে।..সংসদ আইন মেনে চলুক বা না চলুক… সমাজ আইন মেনে চলবে”।

বলে রাখা ভালো, গত বছর দু’টি সমকামী দম্পতি নিজেদের বিবাহের অধিকার প্রয়োগের জন্য এবং বিশেষ বিবাহ আইনের অধীনে তাদের বিবাহ নিবন্ধন করার জন্য সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। এ ব্যাপারে কেন্দ্রের প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়েছিল সর্বোচ্চ আদালত।

আরও পড়ুন: বাল্যবিবাহ ঘিরে উদ্বেগ, ‘সেফ জোন’ হিসেবে ব্যবহৃত জয়নগর-সহ সুন্দরবনের কিছু এলাকা

সাম্প্রতিকতম

আরজি কর আন্দোলনে শামিল কফি হাউসও, প্রতিটি টেবিলে জ্বলল মোমবাতি, উঠল স্লোগান, গাওয়া হল গান

কলকাতা: আরজি কর হাসপাতালে ট্রেনি ডাক্তারের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় গোটা রাজ্য জুড়ে যে...

‘অসত্য’ বিবৃতির জন্য অভিষেককে ক্ষমা চাইতে বলল ডাক্তারদের সংগঠন; ‘অভিষেক ঠিকই বলেছে’, বলল তৃণমূল  

কলকাতা: ‘সমাজমাধ্যমে অসত্য এবং বিদ্বেষপ্রসূত বিবৃতি দেওয়ার জন্য’ তৃণমূল নেতাও সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিঃশর্ত...

ক্যানসারের ওষুধ ও মুখরোচক খাবারে কমল জিএসটি, গবেষণায় পরিষেবায় মিলল ছাড়

৫৪তম জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে ক্যানসারের ওষুধের জিএসটি কমিয়ে ৫% করার ঘোষণা। স্বাস্থ্য বিমার হার কমানোর জন্য গঠন করা হয়েছে গোম। নামকিনের উপর জিএসটি কমিয়ে ১২%।

‘পুজোয় ফিরে আসুন’ মমতার আহ্বান, তীব্র সমালোচনায় সরব আন্দোলনকারী থেকে বিরোধীরা

সোমবার এক মাস পূর্ণ হল আরজি কর কাণ্ডে নির্যাতিতার মৃত্যুর। এই দিনেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা...

আরও পড়ুন

‘লালবাগছা রাজা’-র সামনে নতমস্তক ধনকুবের শিল্পপতি থেকে বলিউডের সেলেব

মহারাষ্ট্রের মুম্বইয়ের লালবাগছা রাজার গণেশ পুজো বিশাল আকৃতির গণপতি বাপ্পার আরাধনা করে। মরাঠা বীর ছত্রপতি শিবাজির হাত ধরে জনপ্রিয় হওয়া এই পুজো আজ দেশের প্রায় প্রতিটি কোণায় ছড়িয়ে গেছে।

এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানেও এবার মাঝ আকাশেও ওয়াইফাই পরিষেবা 

এয়ার ইন্ডিয়ার পাশাপাশি চলন্ত বিমানে মাঝ আকাশে ওয়াইফাই পরিষেবা দেয় জেটব্লু, নরওয়েইয়ান এয়ার, ফিলিপিন এয়ারলাইনস, এয়ার নিউজিল্যান্ড, চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইনস, ইউনাইটেড এয়ারলাইনস, ভার্জিন অ্যাটলান্টিক, ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ ও লুফৎহানসার মতো অসামরিক বিমান পরিবহণ সংস্থা।

উত্তরপ্রদেশে নেকড়ের হানায় একের পর এক মৃত্যু, কেন মানববসতিতে ঢুকে আক্রমণ?

উত্তরপ্রদেশের বেহরাইচে নেকড়ের হামলায় ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ক্ষুব্ধ নেকড়েরা প্রতিশোধ নিচ্ছে তাদের আবাস বা শাবকদের ক্ষতির কারণে। আতঙ্কে গ্রামবাসীরা সন্ধ্যার পর বাইরে বেরোচ্ছেন লাঠি ও লোহার রড নিয়ে।
ইন্টারভিউয়ে কীরকম শরীরী ভঙ্গিমা থাকা উচিত বাড়তি মেদ ঝরানোর নয়া ট্রেন্ড ‘ওয়াটার ফাস্টিং’ কী?