শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে বড়োসড়ো ধাক্কা খেলেন পলাতক ব্যবসায়ী বিজয় মাল্য। তাঁকে পলাতক আর্থিক অপরাধী ঘোষণা করে তাঁর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরুর নির্দেশ দিয়েছিল মুম্বইয়ের একটি আদালতে। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে মাল্যর আবেদন খারিজ করে দিল সর্বোচ্চ আদালত।
মাল্যর প্রতিনিধিত্বকারী আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টে জানান, তিনি এই বিষয়ে আবেদনকারীর কাছ থেকে কোনো নির্দেশ পাচ্ছেন না। এর পরে সুপ্রিম কোর্ট স্থগিতাদেশ খারিজ করে দেয়। আবেদনকারীর আইনজীবী আদালতে বলেন, আবেদনকারী কোনো নির্দেশ দিচ্ছেন না। এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি অভয় এস ওকা এবং রাজেশ বিন্দালের একটি বেঞ্চ আবেদনটি খারিজ করে দেয়।
এর আগে, ২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে (ইডি) নোটিশ জারি করে মাল্যর আবেদনে মুম্বইয়ের একটি বিশেষ প্রিভেনশন অব মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট (পিএমএলএ) আদালতে তদন্ত সংস্থার আবেদন স্থগিত করার আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছিল সুপ্রিম কোর্ট।
মাল্যর বিরুদ্ধে অবৈধ আর্থিক লেনদেন ও ব্যাঙ্ক ঋণ নিয়ে পরিশোধ না করে দেশ ছেড়ে পালানোর অভিযোগ রয়েছে। ২০১৯ সালে মুম্বইয়ের এক বিশেষ আদালত পলাতক শিল্পপতিকে আর্থিক অপরাধী তকমা দেয়। আইন হওয়ার পর দেশের প্রথম ‘পলাতক আর্থিক অপরাধী’র-এর খেতাব জুটেছিল মাল্যর। যাঁরা ভারতে নানা অর্থনৈতিক অপরাধ করে বিদেশে পালিয়ে গিয়েছেন, তাঁদের জন্যই ওই আইন। আইনের বিধান অনুসারে, একবার একজন ব্যক্তিকে পলাতক আর্থিক অপরাধী ঘোষণা করা হলে, তদন্তকারী সংস্থা তাঁর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার ক্ষমতা রাখে।
প্রসঙ্গত, বিজয় মাল্যর প্রত্যর্পণের বিষয়ে ২০২০ সালের এপ্রিলে ব্রিটেনের উচ্চ আদালত ছাড়পত্র দিয়েছিল। কিন্তু ‘অজানা’ কারণে এখনও তা বাস্তবায়িত হয়নি। ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, ব্রিটেন সরকারের কাছে আশ্রয় চেয়েছেন বিজয় মাল্য। ২০২১ সালে ব্রিটেনের এক আদালতে সেই বিষয়ে তাঁর আইনজীবীও নিশ্চিত করেছিলেন।
আরও পড়ুন: প্রয়াত ‘পাণ্ডব গোয়েন্দা’র স্রষ্টা ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়