নয়াদিল্লি: করোনাকালে প্রবীণ নাগরিকদের জন্য বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ট্রেন ভাড়ার ছাড়। তা আর চালু করতে চায় না ভারতীয় রেল। শুক্রবার ট্রেন ভাড়ায় ছাড় ফেরানোর আবেদন খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট।
এমকে বালাকৃষ্ণানের দায়ের করা একটি আবেদনের শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এস কে কৌল এবং আহসানউদ্দিন আমানুল্লাহের বেঞ্চ জানায়, এটা (ট্রেন ভাড়ায় ছাড়) নীতিগত বিষয় এবং এর জন্য আদালত সরকারকে নির্দেশ দিতে পারে না।
সুপ্রিম কোর্ট নিজের পর্যবেক্ষণে বলেছে, “সংবিধানের ৩২ অনুচ্ছেদের আওতায় একটি পিটিশনে আদেশের রিট জারি করা এই আদালতের পক্ষে সঠিক হবে না। আর্থিক প্রভাব বিবেচনা করে এবং প্রবীণ নাগরিক এবং নাগরিকদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।” আবেদনকারীর দাবি ফিরিয়ে বেঞ্চ বলেছে বয়স্কদের ছাড় দেওয়া রাষ্ট্রের ‘দায়বদ্ধতা’।
এর আগে, একটি সংসদীয় স্থায়ী কমিটি প্রবীণ নাগরিকদের দেওয়া ছাড়গুলি পুনরায় চালু করার সুপারিশ করেছিল। বিজেপি সাংসদ রাধামোহন সিংয়ের নেতৃত্বে রেলপথ মন্ত্রকের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির রিপোর্টে এ কথা বলা হয়েছে।
তবে প্রবীণ নাগরিকরা মহামারির আগে ট্রেনের টিকিটে যে ছাড় পেতেন, তা আর পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই বলে গত বছরেই জানিয়ে দিয়েছিলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। মন্ত্রীর কথায়, বিভিন্ন ধরনের ভর্তুকি এবং বেতন বিলের কারণে উচ্চ ব্যয়ে ভুগছে রেল। যে কারণে, বর্তমান “পরিস্থিতি” বিবেচনায় রেখে প্রবীণদের জন্য সেই ছাড় এখনই ফিরছে না।
প্রসঙ্গত রেল মোট ৫৩ রকম ছাড় দিয়ে থাকে। দেশে করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পরে ২০২০ সালের ২২ মার্চ অধিকাংশ ছাড় দেওয়া স্থগিত রাখা হয়। প্রতিবন্ধী, রোগী এবং ছাত্রছাত্রীদের জন্য ১৫ রকমের ছাড় চালু থাকে। এখনও সেই ব্যবস্থাই চলছে।
রেলের নিয়ম অনুযায়ী মহিলাদের ক্ষেত্রে ৫৮ বছর ও পুরুষের ক্ষেত্রে ৬০ বছরের বেশি বয়স হলেই এই ছাড়া দেওয়া হতো। মহিলাদের ক্ষেত্রে ভাড়ার ৫০ শতাংশ এবং পুরুষের ক্ষেত্রে ৪০ শতাংশ ছাড় পাওয়া যেত। যা করোনার সময় থেকে বন্ধ রয়েছে।
আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতির মামলা শুনতে পারবেন না বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, বড়ো নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের