Homeখবরদেশমাদ্রাসাগুলিকে আর্থিক সাহায্য বন্ধ করার আহ্বান জাতীয় শিশু অধিকার রক্ষা কমিশনের, কী...

মাদ্রাসাগুলিকে আর্থিক সাহায্য বন্ধ করার আহ্বান জাতীয় শিশু অধিকার রক্ষা কমিশনের, কী এমন ঘটল

প্রকাশিত

মাদ্রাসার কার্যকারিতা নিয়ে গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতীয় শিশু অধিকার রক্ষা কমিশন (NCPCR)। ‘শিক্ষা অধিকার আইন’ (RTE) মেনে চলা না পর্যন্ত মাদ্রাসাগুলিতে রাজ্যের আর্থিক সাহায্য বন্ধ করার প্রস্তাব দিয়েছে কমিশন।

একটি রিপোর্টে কমিশন জানিয়েছে, ২০০৯ সালের আরটিই আইন থেকে মাদ্রাসাকে ছাড় দেওয়া শিশুদের মানসম্মত শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে। বিভিন্ন জাতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে এ নিয়ে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রশাসনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

এনসিপিসিআরের রিপোর্ট অনুযায়ী, সংবিধানের ২৯ ও ৩০ নম্বর ধারা সংখ্যালঘুদের সাংস্কৃতিক অধিকার রক্ষার কথা বললেও, মাদ্রাসায় পড়া শিশুদের বিরুদ্ধে বৈষম্যের সৃষ্টি করছে। তারা আরটিই আইন দ্বারা নির্ধারিত প্রথাগত শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে, মাদ্রাসাগুলির মূল উদ্দেশ্য ধর্মীয় শিক্ষা হলেও, অনেক প্রতিষ্ঠানেই প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো, প্রশিক্ষিত শিক্ষক এবং সঠিক পাঠ্যক্রমের অভাব রয়েছে। এর ফলে, এই শিক্ষার্থীরা প্রথাগত বিদ্যালয়ের ছাত্রদের তুলনায় পিছিয়ে পড়ছে।

এছাড়াও, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা মৌলিক সুবিধা যেমন পাঠ্যবই, ইউনিফর্ম, এবং মিডডে মিল স্কিম থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, বেশ কিছু ঘটনার উদ্ধৃতি এবং উদাহরণ দিয়ে রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে বলা হয়েছে মাদ্রাসাগুলিকে যেন সাহায্য না করা হয়। পাশাপাশি, মুসলমান সম্প্রদায়ের শিশুকে মাদ্রাসায় ভর্তি না করিয়ে অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে কমিশন।

এনসিপিসিআর জানিয়েছে যে, প্রায় ১.২ কোটি মুসলিম শিশু শিক্ষা থেকে বঞ্চিত, যা ২০২১-২২ সালের তথ্য-পরিসংখ্যানে স্পষ্ট হয়েছে। কমিশন জানায়, অনেক মাদ্রাসায় জবাবদিহিতার অভাব রয়েছে, যেখানে শিশুর নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগ, যেমন খারাপ পরিকাঠামো এবং শিশু অধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে।

কমিশন একটি সুপারিশ করেছে যাতে মাদ্রাসা এবং মাদ্রাসা বোর্ডকে আরটিই আইনের অধীনে কাজ করতে বাধ্য করা হয়। তারা আরও সুপারিশ করেছে যে, মাদ্রাসায় অমুসলিম শিশুদের ভর্তি করা উচিত নয়, কারণ এটি সংবিধানের ২৮ নম্বর ধারা লঙ্ঘন করে।

এনসিপিসিআরের রিপোর্টে একটি সমন্বিত শিক্ষাপ্রণালীর প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে, যেখানে ধর্মীয় ও প্রথাগত শিক্ষা সহাবস্থান করতে পারে তবে একই প্রতিষ্ঠানে নয়। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, “ধর্মীয় শিক্ষা কখনও প্রথাগত শিক্ষার ক্ষতির কারণ হতে পারে না”। বলা হয়েছে, রাষ্ট্রের কর্তব্য হচ্ছে প্রতিটি শিশুর জন্য বিনামূল্যে এবং বাধ্যতামূলক শিক্ষার অধিকারকে অগ্রাধিকার দেওয়া।

আপনার প্রশ্ন, আমাদের উত্তর

সাম্প্রতিকতম

কলকাতা-গুয়াংঝাউ উড়ান চালু, ভারত-চিনের সম্পর্কে উষ্ণতার ইঙ্গিত

কলকাতা: দীর্ঘ পাঁচ বছর পর আবার শুরু হল ভারত ও চিনের মধ্যে সরাসরি বিমান...

শ্রেয়স আয়ারকে আইসিইউ থেকে বাইরে আনা হয়েছে, অবস্থা স্থিতিশীল

খবর অনলাইন ডেস্ক: ভারতের তারকা মিডল অর্ডার ব্যাটার ও ওয়ানডে দলের সহ-অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ার...

ঘরামি-অনুষ্টুপের লড়াইয়ে রনজি ট্রফির ম্যাচে গুজরাতের বিপক্ষে সুবিধাজনক অবস্থায় বাংলা

কলকাতা: সুদীপ ঘরামির দ্বিতীয় টানা অর্ধশতক ও অনুষ্টুপ মজুমদারের অপরাজিত ধৈর্যশীল ইনিংসের দৌলতে গুজরাতের...

পাকিস্তানি জেনারেলকে ‘বিতর্কিত মানচিত্র’ উপহার দিয়ে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কে অস্বস্তি সৃষ্টি করলেন মুহাম্মদ ইউনূস

ঢাকা: বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান মুহাম্মদ ইউনূস আবার কূটনৈতিক বিতর্কের কেন্দ্রে। এবার তিনি পাকিস্তানি সেনার...

আরও পড়ুন

কলকাতা-গুয়াংঝাউ উড়ান চালু, ভারত-চিনের সম্পর্কে উষ্ণতার ইঙ্গিত

কলকাতা: দীর্ঘ পাঁচ বছর পর আবার শুরু হল ভারত ও চিনের মধ্যে সরাসরি বিমান...

শ্রেয়স আয়ারকে আইসিইউ থেকে বাইরে আনা হয়েছে, অবস্থা স্থিতিশীল

খবর অনলাইন ডেস্ক: ভারতের তারকা মিডল অর্ডার ব্যাটার ও ওয়ানডে দলের সহ-অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ার...

বাংলা-সহ ১২ রাজ্যে ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে শুরু হচ্ছে এসআইআর, ভোটার তালিকা সংশোধন শুরু ৪ নভেম্বর থেকে

দেশের ১২ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে শুরু হচ্ছে দ্বিতীয় দফার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR)। বাংলায় এনুমেরেশন ফর্ম বিতরণ শুরু হবে ৪ নভেম্বর থেকে, চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে ৭ ফেব্রুয়ারি।