নয়াদিল্লি: হিন্ডেনবার্গ মামলায় (Hindenburg Case) বড় স্বস্তি পেল আদানি গোষ্ঠী (Adani Group)। বুধবার এই মামলার রায়ে সর্বোচ্চ আদালত জানিয়ে দিল, সেবি (SEBI) থেকে সিট (SIT)-এ এই মামলা স্থানান্তর করার কোনো ভিত্তি নেই।
এ দিন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং মনোজ মিশ্রের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ ভারতীয় কর্পোরেট জায়ান্ট আদানি-হিন্ডেনবার্গ দ্বন্দ্বের পিটিশনের ভিত্তিতে এই মামলায় রায় ঘোষণা করে। বেঞ্চ স্পষ্টতই জানিয়ে দেয়, “সেবি থেকে সিট-এ এই মামলা স্থানান্তর করার কোনো ভিত্তি নেই”। তবে এই মামলার সঙ্গে জড়িত বাকি অভিযোগের তদন্ত তিন মাসের মধ্যে সম্পূর্ণ করতে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট।
মার্কিন ভিত্তিক শর্ট সেলার ফার্ম হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের অভিযোগের সঙ্গে সম্পর্কিত ২৪টি মামলার মধ্যে ২২টির তদন্ত করেছে সেবি। বাকি দুটি মামলার তদন্ত শেষ করতে সেবি-কে তিন মাস সময় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
হিন্ডেনবার্গ মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায়কে স্বাগত জানিয়ে গৌতম আদানি বলেছেন, “সত্যের জয় হল।” সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে তিনি লেখেন, “সুপ্রিম কোর্টের এই রায় দেখিয়ে দিচ্ছে সত্যের জয় হয়েছে। সত্যমেব জয়তে। যাঁরা আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন আমি তাঁদের কাছে কৃতজ্ঞ। ভারতের এগিয়ে চলার প্রশ্নে আমাদের বিনম্র অবদান অব্যাহত থাকবে। জয় হিন্দ।”
মার্কিন শর্ট-সেলার হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ জালিয়াতি এবং শেয়ারে কারচুপির অভিযোগ তুলেছিল আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে। তার পরে আদানি গ্রুপের সমস্ত কোম্পানির বাজার মূলধনে প্রচুর ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। প্রত্যাহার করে নেওয়া হয় বন্ড। জল গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে।
প্রসঙ্গত, নিউইয়র্ক-ভিত্তিক হিন্ডেনবার্গ জানুয়ারিতে ভারতের আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তোলে। তবে আদানি গোষ্ঠী শুরু থেকে বারবার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। কিন্তু হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের প্রতিবেদন প্রকাশ্যে আসার পর শুধু আদানি গোষ্ঠী নয়, পুরো শেয়ার বাজারে চরম অস্থিরতা তৈরি হয়েছিল। কোটি কোটি টাকা খোয়াতে হয় সাধারণ বিনিয়োগকারীদের। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে রাজনীতিও।
আরও পড়ুন: বাংলায় প্রতি আসনে একজন ইনচার্জ, লোকসভা নির্বাচনে নয়া কৌশল বিজেপির