নয়াদিল্লি: আবগারি দুর্নীতি মামলায় জেলে যেতে হয়েছিল দিল্লির মুখ্য়মন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে। বর্তমানে তিনি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে রয়েছেন। সেই তাঁকেই মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে অপসারণের আবেদন জমা পড়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। সেই আবেদন শুনতে নারাজ সর্বোচ্চ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের সাফ জবাব, “আমরা এটা করতে পারি না।”
আবেদনকারীর দাবি, মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল ব্যক্তিগত স্বার্থে পদ ছাড়ছেন না। কেজরিওয়ালের জেলে থাকার কারণে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ প্রভাবিত হচ্ছে। তবে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে যে এটি দিল্লির উপরাজ্যপালের এক্তিয়ারের মধ্যে পদে। আদালত কাউকে এ ভাবে পদ থেকে অপসারণের নির্দেশ দিতে পারে না।
সর্বোচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, এটি অধিকারের বিষয়, কিন্তু অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতারের পর মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে তাঁর অপসারণের দাবি করার কোনও আইনি অধিকার নেই।
বলে রাখা ভালো, দিল্লির আবগারি নীতি সংক্রান্ত মামলায় ইডি-র গ্রেফতারের পরে, কেজরিওয়ালকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে অপসারণের দাবিতে একটি পিটিশন দায়ের করা হয়েছিল আদালতে।
সর্বোচ্চ আদালত এমন এক সময়ে এই আবেদন খারিজ করেছে যখন লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে ১ জুন পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেওয়া হয়েছে। তবে, এর আগে অনেক বার কেজরিওয়াল নিজে এবং অন্য আপ নেতারা বলেছেন যে মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকবেন তিনিই।
তিহাড় জেল থেকে জামিনে মুক্তি পাওয়ার পরে, অরবিন্দ কেজরিওয়াল রবিবার বলেছিলেন যে “দিল্লিতে সরকার পতনের জন্য বিজেপি আমার পদত্যাগ চায়, তবে আমি এটি হতে দেব না। অনেক চেষ্টা করেও তারা দিল্লি সরকারের পতন ঘাতে পারেনি। তারা আমাদের বিধায়কদের ভাঙতে পারেনি। পঞ্জাব সরকারকেও আঁচড় দিতে পারেনি তারা। তাদের পুরো পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়েছে।”
আরও পড়ুন: মোদীর পাশে বিজেপি প্রতীক হাতে দাঁড়িয়ে ঠাট্টা-বিদ্রুপের শিকার নীতীশ কুমার