Home খবর দেশ স্বামী জীবনে উন্নতি করলে প্রাক্তন স্ত্রীর সমান অর্থ দাবি অযৌক্তিক: সুপ্রিম কোর্ট

স্বামী জীবনে উন্নতি করলে প্রাক্তন স্ত্রীর সমান অর্থ দাবি অযৌক্তিক: সুপ্রিম কোর্ট

নয়াদিল্লি: দাম্পত্য বিচ্ছেদের পর বিশাল অঙ্কের ভরণপোষণের দাবি জানিয়ে ধনী হওয়ার প্রবণতায় সুপ্রিম কোর্ট কড়া মন্তব্য করেছে। বিচারপতি বি ভি নাগরত্না এবং পঙ্কজ মিথলের বেঞ্চ জানায়, ভরণপোষণের উদ্দেশ্য ধনী স্বামীর সম্পত্তির সঙ্গে সমতা অর্জন নয়, বরং তা সামাজিক ন্যায় প্রতিষ্ঠা এবং বিচ্ছিন্ন স্ত্রীর আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য।

এই রায়ে এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিককে তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রীর জন্য ১২ কোটি টাকার ভরণপোষণ দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। এই দাম্পত্য মাত্র কয়েক মাস স্থায়ী হয়েছিল। উল্লেখ্য, ওই ব্যক্তি ২০২০ সালে প্রথম স্ত্রীকে ৫০০ কোটি টাকা দিয়েছিলেন। দ্বিতীয় স্ত্রী এই ঘটনাকে সামনে রেখে সমপরিমাণ ভরণপোষণের দাবি জানান।

৭৩ পাতার রায়ে বিচারপতি নাগরত্না লিখেছেন, ‘‘আমরা লক্ষ্য করেছি যে ভরণপোষণ দাবি করার ক্ষেত্রে অনেকেই সঙ্গীর সম্পত্তি ও আয়ের পরিমাণ তুলে ধরে তা সমান করার দাবি জানাচ্ছেন। কিন্তু, বিচ্ছিন্ন সঙ্গীর সম্পদ হ্রাস পেলে এই ধরনের দাবি আর তোলা হয় না।’’

বেঞ্চ জানায়, ভরণপোষণ আইন অনুযায়ী স্ত্রীকে তাঁর বিবাহিত জীবনের অভ্যাস ও মর্যাদার অনুরূপ জীবনযাপন করার সুযোগ দিতে হবে। তবে বিচ্ছেদের পর স্বামীর উন্নতির সঙ্গে স্ত্রীর মর্যাদা বজায় রাখা বাধ্যতামূলক নয়। বেঞ্চ প্রশ্ন তোলে, ‘‘বিচ্ছেদের পরে স্বামীর আর্থিক অবস্থার অবনতি হলে কি স্ত্রী সেই ক্ষতি সমান করার দায় নেবে?’’

দ্বিতীয় স্ত্রী প্রথম স্ত্রীর মতো সমপরিমাণ ভরণপোষণ দাবি করলেও বেঞ্চ স্পষ্ট জানায়, দীর্ঘ দাম্পত্য এবং স্বল্পকালীন দাম্পত্যের মধ্যে আর্থিক প্রতিদান নির্ধারণের ক্ষেত্রে বড় পার্থক্য থাকে। বেঞ্চ আরও জানায়, ‘‘বিচ্ছিন্ন স্ত্রীর ভরণপোষণের উদ্দেশ্য তাঁকে দারিদ্র্যের হাত থেকে রক্ষা করা এবং মর্যাদা বজায় রাখা, সম্পত্তি সমান করা নয়।’’

বাঁকে বিহারি মন্দিরে পোশাকবিধি নিয়ে নতুন নির্দেশিকা, মিনি স্কার্ট-ছেঁড়া জিন্স নিষিদ্ধ

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Exit mobile version