Home খবর দেশ কানোয়ার যাত্রারুটে খাবারের দোকানে মালিকের নাম ঝোলানোর নির্দেশে সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশ

কানোয়ার যাত্রারুটে খাবারের দোকানে মালিকের নাম ঝোলানোর নির্দেশে সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশ

0

খবর অনলাইন ডেস্ক: কানোয়ার যাত্রারুটে যে সব খাবারের দোকান পড়ে সেখানে দোকানের মালিকের নাম ঝুলিয়ে রাখার নির্দেশে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করল সুপ্রিম কোর্ট। এ ব্যাপারে উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, দিল্লি এবং মধ্যপ্রদেশ সরকারকে নোটিশ জারি করল শীর্ষ আদালত।

অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করে শীর্ষ আদালত বলেছে, উত্তরপ্রদেশ পুলিশ দোকানের মালিকদের এভাবে তাঁদের নাম ঝোলাতে বাধ্য করতে পারে না। তারা বরং খাবারের তালিকা ঝোলানোর কথা বলতে পারে।

শীর্ষ আদালত বলেছে, “কানোয়ার যাত্রার রুটে খাবারের দোকানের মালিকদের দোকানের বাইরে তাঁদের নাম ঝোলাতে বাধ্য করবেন না।” উত্তরপ্রদেশের নির্দেশের বিরুদ্ধে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র-সহ আরও যাঁরা আবেদন জমা দিয়েছেন, সোমবার তাঁদের সেই সব আবেদনের শুনানি চলে বিচারপতি হৃষীকেশ রায় এবং বিচারপতি এস ভি এন ভাটকে নিয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চে।

ওই সব আবেদনে বলা হয়েছে, রাজ্য সরকারের ওই নির্দেশ ধর্মনিরপেক্ষতার বিরোধী এবং এতে সংবিধানের ধারা লঙ্ঘিত হয়েছে। এ বিষয়ে জবাব চেয়ে ডিভিশন বেঞ্চ উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, দিল্লি এবং মধ্যপ্রদেশ সরকারের কাছে নোটিশ পাঠিয়েছে।

উত্তরপ্রদেশ সরকার ২০ জুলাই কানোয়ার যাত্রারুটে খাবারের দোকানে মালিকদের নাম ঝোলানোর নির্দেশ জারি করে। এই নির্দেশের বিরুদ্ধে শুধু বিরোধী দলগুলিই নয়, কেন্দ্রের জোট সরকারের শরিক বিজেপির তিন সহযোগী দলও আক্রমণ শানায়। ওই তিন দল হল লোক জনশক্তি পার্টি, রাষ্ট্রীয় লোকদল এবং জনতা দল (ইউনাইটেড)। তাদের দাবি, ওই নির্দেশ প্রত্যাহার করতে হবে।

ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ‘অ্যাসোসিয়েশন অফ প্রোটেকশন অফ সিভিল রাইটস’ (এপিসিআর), রাজনৈতিক ধারাভাষ্যকার অপূর্বানন্দ ও রাজনৈতিক কর্মী আকর পটেল এবং তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র সুপ্রিম কোর্টে আবেদন পেশ করেন। এ ব্যাপারে ২৬ জুলাই পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে।

আরও পড়ুন

কানোয়ার যাত্রারুটে খাবারের দোকান নিয়ে নির্দেশের সমালোচনায় বিজেপির তিন শরিক, দাবি উঠল প্রত্যাহারের

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Exit mobile version