বেঙ্গালুরু: ফলাফল ঘোষণার চার দিন পরেও কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে সাসপেন্স অব্যাহত। মিডিয়া রিপোর্টে প্রকাশ, দৌড়ে থাকা এস সিদ্দারামাইয়া এবং ডিকে শিবকুমারের জন্য মুখ্যমন্ত্রীপদের মেয়াদ ভাগ করে দিতে পারেন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব।
দলীয় সূত্রে খবর, কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে কংগ্রেস নেতৃত্ব আজ আরেক দফা আলোচনায় বসবেন। এরই মধ্যে মঙ্গলবার বেঙ্গালুরু থেকে দিল্লিতে এসে শিবকুমার কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গেকে জানিয়ে দিয়েছেন, তিনিই মুখ্যমন্ত্রী হতে চান।
অন্য দিকে, খড়্গের সঙ্গে আলাদা করে বৈঠক সেরেছেন সিদ্দারামাইয়াও। তাঁর অনুগামীদের দাবি,কর্নাটকের অধিকাংশ কংগ্রেস বিধায়ক সিদ্দারামাইয়াকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে চাইছেন।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, কংগ্রেস সম্ভবত সিদ্দারামাইয়া এবং শিবকুমারের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রিত্বের মেয়াদকে ভাগ করে দিতে পারে। সূত্রের খবর, শিবকুমারকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, যদি তিনি প্রথম দুই বছর সিদ্দারামাইয়াকে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি ছেড়ে দেন, তা হলে পরের তিন বছর ওই চেয়ার যাবে তাঁর দখলে।
বিজেপি-কে পর্যুদস্ত করে কর্নাটকের ক্ষমতায় ফিরছে কংগ্রেস। সূত্রের খবর, আগামী বৃহস্পতিবার শপথ নিচ্ছেন কর্নাটকের নতুন মুখ্যমন্ত্রী এবং মন্ত্রীসভা। কিন্তু প্রশ্ন একটাই, রাজ্যের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কাকে বেছে নিচ্ছে কংগ্রেস? কর্নাটক জয়ের পর কংগ্রেসের এখন সবচেয়ে বড় মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন। এক দিকে রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া এবং অন্য দিকে রয়েছেন কর্নাটক কংগ্রেসের সভাপতি ডিকে শিবকুমার। দু’জনেই মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সির যোগ্য দাবিদার। সূত্রের খবর, কাকে কুর্সিতে বসানো হবে, মঙ্গলবারই হয়তো সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলবে কংগ্রেস।
সূত্র উদ্ধৃত করে এনডিটিভি-র রিপোর্টে বলা হয়েছে, কর্নাটকের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন গান্ধী (সোনিয়া, রাহুল, প্রিয়ঙ্কা)-রা। থাকবেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে। পাশাপাশি সম মনোভাবাপন্ন রাজনৈতিক দলগুলির নেতৃত্বকেও শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ পাঠানো হয়েছে।
বলে রাখা ভালো,কন্নড় রাজ্যে কংগ্রেসের ভোট বৈতরণী পার করানোর দায়িত্বে ছিলেন দুই সেনাপতি— প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া এবং ডিকে শিবকুমার। এ বার প্রশ্ন, কে হচ্ছেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী? প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিদায়ী বিরোধী দলনেতা সিদ্দারামাইয়া না কি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডিকে শিবকুমার? এই প্রশ্নের জবাব খুঁজতেই চলছে তুমুল টানাপোড়েন। কারণ, দুই নেতাই ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য নিজেদের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
গত ১০ মে ভোটগ্রহণ হয়েছিল দক্ষিণের এই গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে। ১৩ মে হয় ভোটগণনা। দেখা যায়, ২২৪ আসনের বিধানসভায় কংগ্রেস জিতেছে ১৩৫টি আসনে। বিজেপি জয়ী হয়েছে মাত্র ৬৬টি আসনে। যেখানে গত ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিজেপির প্রাপ্ত আসন সংখ্যা ছিল ১০৪।
আরও পড়ুন: সিদ্দারামাইয়া না কি শিবকুমার, কর্নাটকে কাকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বাছবে কংগ্রেস