হায়দরাবাদ: শুক্রবার (৩০ নভেম্বর) তেলঙ্গনার সমস্ত (১১৯টি) বিধানসভা আসনে ভোটগ্রহণ। তার কয়েক ঘণ্টা আগে নিজেদের জয় নিশ্চিত করতে শেষ মুহূর্তের প্রচার-পরিকল্পনায় ব্যস্ত সব রাজনৈতিক দল। অনেক আসনেই কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও এবং ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিবিদ মোহম্মদ আজহারউদ্দিন-সহ অনেক নেতার ভাগ্য এ বারের রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে ঝুঁকিতে রয়েছে বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের।
এ বারের বিধানসভা নির্বাচনে দুটি আসনে প্রার্থী হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও। গজওয়েল এবং কামারেড্ডি থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিনি। গজওয়েল আসনে মোট ৪০ জন এবং কামারেড্ডি আসনে ৩৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
তেলঙ্গনা বিধানসভা নির্বাচনে সকলের নজরে রয়েছে গজওয়েল বিধানসভা কেন্দ্রটি। বিআরএস প্রার্থী এবং বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী কেসিআর এই আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বলে রাখা ভালো, তেলঙ্গনা পৃথক রাজ্য হওয়ার পরে অনুষ্ঠিত হওয়া দু’টি বিধানসভা নির্বাচনে, শুধুমাত্র কে চন্দ্রশেখর রাও গজওয়েল আসন থেকে জিতেছিলেন। এ বার বিজেপি কেসিআর-এর বিরুদ্ধে নির্বাচনী লড়াইয়ে নামিয়েছে এটেলা রাজেন্দ্রকে। অন্য দিকে, ঠুমকুন্তা নরাসা রেড্ডিকে টিকিট দিয়েছে কংগ্রেস।
শুধু তাই নয়, কামারেড্ডি বিধানসভা আসন থেকেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন কেসিআর। বিজেপি কে ভেঙ্কটরমন রেড্ডিকে কেসিআরের বিরুদ্ধে প্রার্থী করেছে, আর কংগ্রেস রেভান্থ রেড্ডিকে প্রার্থী করেছে।
জুবিলি হিলস বিধানসভা কেন্দ্রেও একটি আকর্ষণীয় প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মোহম্মদ আজহারউদ্দিন এই আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তিনি বিআরএস-এর বর্তমান বিধায়ক মাগান্তি গোপীনাথ এবং এআইএমআইএম-এর মোহম্মদ রাশেদ ফারাজউদ্দিনের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। জুবিলি হিলস আসন থেকে লঙ্কলা দীপক রেড্ডিকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। গত বিধানসভা নির্বাচনে, জুবিলি হিলসে কোনো প্রার্থী দেয়নি এআইএমআইএম। যে কারণে এখানে এ বার চতুর্মুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে চলেছে।
আরও পড়ুন: ধর্মতলায় শাহি সভা, কালো পোশাক পরে প্রতিবাদ কর্মসূচি তৃণমূলের