বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য নাম উঠে এসেছে তৃণমূলনেত্রী এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সমর্থনকারীদের উদ্দেশে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মমতা। মঙ্গলবার লালুপ্রসাদ যাদব এ বিষয়ে সওয়াল করার পর দিনই প্রতিক্রিয়া জানালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
তিন দিনের পূর্ব মেদিনীপুর সফরে রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার দিঘায় নির্মীয়মাণ জগন্নাথ মন্দির পরিদর্শন করেন তিনি। সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মমতা বলেন, “অনেকেই এই সম্মান দেখিয়েছেন, তার জন্য আমি সবার প্রতি কৃতজ্ঞ। আমি সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করি। আমি চাই তাঁরা ভালো থাকুন, তাঁদের দল ভালো করুক। আমি চাই ইন্ডিয়া ভালো করুক। এটাই আমার চাওয়া। তবে আজ আমি আমাদের জগন্নাথ মন্দিরের পক্ষ থেকে সবার জন্য শুভেচ্ছা জানাতে চাই।”
ইন্ডিয়া জোটের দলগুলির নেতারা সংসদের চলমান অধিবেশন শেষে বৈঠক করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এটি হবে লোকসভা নির্বাচনের পরে এবং কংগ্রেসের হরিয়ানা ও মহারাষ্ট্রে বড় নির্বাচনী পরাজয়ের পরে প্রথম বৈঠক।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি ক্রমবর্ধমান সমর্থন বিরোধী জোট ইন্ডিয়ার নেতৃত্বে তাঁর ভূমিকা নিয়ে জল্পনা তৈরি করেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি ভারতের রাজনীতিতে বিরোধী ঐক্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক।
উল্লেখ্য, গতকাল লালুপ্রসাদ বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইন্ডিয়া জোটের প্রধান করা উচিত। কংগ্রেস যদি আপত্তি তোলে, তাতেও কিছু যায় আসে না।”
আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবও জানান, “ইন্ডিয়া জোটের যে কোনো সিনিয়র নেতা নেতৃত্ব দিতে পারেন। তবে এই সিদ্ধান্ত সর্বসম্মতভাবে নেওয়া উচিত।”
শিবসেনার রাজ্যসভার সাংসদ প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদীও মমতার নেতৃত্বে আস্থা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অতীতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির ভুল প্রচার ও ভুয়ো তথ্য রুখে দিয়েছেন। নেতৃত্ব পেলে তিনি ইন্ডিয়া জোটকে আরও শক্তিশালী করবেন।”
শিবসেনার নেতা সঞ্জয় রাউত বলেন, “কেউ রাহুল গান্ধীর নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন না। তবে মমতা বা লালুপ্রসাদের মতো নেতাদের মতামত শুনে দেখাও জরুরি।”