নয়াদিল্লি: মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের বাজেট অধিবেশন। শুরু হবে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর ভাষণ দিয়ে। তিনি যৌথ ভাবে উভয় কক্ষে ভাষণ দেবেন। কেন্দ্রীয় সরকারও একই দিনে নিজের অর্থনৈতিক সমীক্ষা পেশ করবে। ১ ফেব্রুয়ারি পেশ করা হবে সাধারণ বাজেট। সেই বাজেটের ইঙ্গিত দিতে পারে এই অর্থনৈতিক সমীক্ষা রিপোর্ট।
জানা গিয়েছে, নতুন সংসদ ভবন প্রায় প্রস্তুত হয়ে গেলেও এ বারের অধিবেশনের বৈঠকগুলো হবে পুরনো সংসদ ভবনে। নতুন ভবনে সংসদের পরবর্তী বৈঠক হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আগামী বছর লোকসভা ভোট। ফলে এটাই হবে বর্তমান সরকারের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। এমতাবস্থায় সরকার এই বাজেটে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণাও করতে পারে। পাশাপাশি প্রায় ২৭ দিন ধরে চলা এই অধিবেশনে সরকার নিজের যাবতীয় কাজ সেরে ফেলতে পারে, যেগুলি ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে ভারতের উচ্চশিক্ষা কমিশন-সহ নির্বাচনী সংস্কারের বেশ কয়েকটি বিল অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
সূত্রের খবর, সরকারের পক্ষ থেকে মোট ৩৬টি বিল আনার সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ বিষয় হল সংসদের এই বাজেট অধিবেশন ৩১ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে চলবে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত। এর মধ্যে প্রায় এক মাস ছুটি থাকবে। প্রস্তাবিত তফসিল অনুযায়ী, বাজেট অধিবেশনের প্রথম পর্ব চলবে ৩১ জানুয়ারি থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। দ্বিতীয় অধিবেশন ১৩ মার্চ থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে। প্রায় ৬৬ দিনের এই পুরো অধিবেশনে মোট ২৭টি বৈঠক হবে।
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, দেশের বড়ো অংশের মধ্যবিত্তকে স্বস্তি দেওয়ার জন্য আয়কর স্ল্যাব পরিবর্তন করতে পারেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। গ্রামীণ কর্মসংস্থান, স্থানীয় উৎপাদন শিল্পের জন্য আর্থিক বরাদ্দ বাড়াতে পারে কেন্দ্র।
আরও পড়ুন: বাংলা বইমেলা দিল্লিতে হবে, কলকাতা বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর